by admin | Dec 10, 2022 | codex blog, design, development, How to become a skilled software engineer?, Programming, software engineer, web development
তুমি যদি একজন সমস্যার সমাধানকারী হও যে কিনা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান অথবা কোন কাজকে সহজ করে তুলতে পছন্দ করো তবে তুমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সফল ক্যারিয়ার পেতে পারো।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটি শাখা যেখানে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডিজাইন, নির্মাণ, পরীক্ষণ এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করা হয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যার সমাধান তৈরি করতে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা ও প্রোগ্রামিং জ্ঞানের প্রয়োগ করে।
সফল দক্ষ
ইঞ্জিনিয়াররা জানেন কিভাবে সঠিক প্রোগ্রামিং ভাষা, প্ল্যাটফর্ম এবং আর্কিটেকচার ব্যবহার করে কম্পিউটার গেম থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল সিস্টেম এর মত জটিল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হয়।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা তাদের নিজস্ব সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার পরীক্ষা, আপডেট ডেভেলপমেন্ট ও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে থাকেন।
Meta এর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুরতাদা আল-তামিমি বলেছেন, ” সমস্যা সমাধান করা লাগে এ ধরনের কোন কিছু দেখলেই আমি অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়ি, কারণ তা থেকে আমি একটি অ্যাপ্লিকেশনের নতুন ফিচারস অথবা ওই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন অ্যাপ্লিকেশন কিভাবে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করি।”
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমার প্রতিদিনকার কাজগুলো হতে পারে :
- নতুন সফটওয়্যার সিস্টেম ডিজাইন ও মেনটেনেন্স
- নতুন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি ও তা পরীক্ষা করা
- কোড লেখা ও তা পরীক্ষা করা
- ক্লায়েন্ট, ইঞ্জিনিয়ার, সাইবার এক্সপার্ট ও অন্যান্যদের সাথে সফটওয়্যার এর উন্নতি নিয়ে পরামর্শ করা।
- গ্রাহককে সফটওয়্যার এর বিভিন্ন নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য এবং এর কাজ উপস্থাপন করা।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত দুটি বিষয়ের মধ্যে একটি নিয়ে পড়ালেখা ও দক্ষতা অর্জন করেন, তা হলো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। একজন সিস্টেম ডেভলপার অর্থাৎ ব্যাকএন্ড
ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক এর মত জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করে। আর একজন অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার সাধারণত কম্পিউটার সফটওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর মত জিনিস গুলো নিয়ে কাজ করে।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে কত সময় লাগে?
চার বছরের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিজ্ঞানের Bsc ডিগ্রি নেওয়া উচিত। কিছু শিক্ষার্থী তাদের কোর্সকে চ্যালেঞ্জিং মনে করতে পারে এবং তাদের শেখার এবং বোঝার জন্য আরও বেশি সময় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে এখনও প্রায় চার বছরের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হওয়া উচিত।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে শিখুন
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে শেখা অত্যন্ত জরুরি। একজন ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে তাকে ভালো প্রোগ্রামার হতে হবেই। এর জন্য এক বা একাদিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এ আপনার দক্ষতা দরকার।যত বেশি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে আপনি জানবেন পেশা হিসাবে আপনার কাছে এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এর মধ্যে শেখা দরকার :Python, JavaScript, C#, C++, Ruby, Javaএর মধ্যে Python,জাভাস্ক্রিপ্ট,CSS ,HTML আপনাকে জেনে রাখতে হবে।
কোনো বেসিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে এগুলি অনেক ব্যাবহার হয়। এছাড়া ডাটা সাইন্স আর মেশিন লার্নিং ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষেত্রেও Python,R এর ব্যাবহার অনেক। আর যেহেতু সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি কোর তথ্যপ্রযুক্তি এর মধ্যে পরে তাই এর জন্য বিষয় গুলি সবসময় আপডেট হতে থাকে। তাই আজকে আপনি যদি কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এর একটি ভার্সন শিখলেন,সেটি আবারো কিছুদিন পরে আপডেট হলে শিখে নিতে হবে। তাই এই পরিবর্তন এর সাথে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর চাকরির সুযোগ হিসাবে দেশ বিদেশে অনেক আছে. দেশের মধ্যে বড় বড় IT কোম্পানি যেমন TCS ,IBM ,Accenture এ অনেক ভালো মানের চাকরি পাওয়া যায়। অনেক সময় কলেজ ক্যাম্পাসিং থেকে এই সুযোগ চলে আসে কোর্স করতে করতেই। তাই ভালো ভাবে কোর্স /ডিগ্রী শেষ করলে চাকরির অভাব হয় না।
Writer : Iftakhar Ahmed
by Mohammad Jubair | Jul 17, 2022 | design, development, Digital Marketing, Programming
-আচ্ছা অনেক তো জানলাম প্রোগ্রামিং কি, কিভাবে কাজ করে, কেন প্রোগ্রামিং শিখব? ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি আপনারা প্রোগ্রামিং নিয়ে নতুন বা কিছু জানেন না তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ব্লগ পোস্ট করা আছে চাইলে দেখে আসতে পারবেন। প্রোগ্রামিং নিয়ে সকল খুঁটিনাটি A to Z বভ বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা আছে। চাইলে হালকা পড়ে আসতে পারেন। আচ্ছা ওকে, আজকের ব্লগে আমরা জানব কিভাবে প্রোগ্রামিং করে ইনকাম করতে হয় ইত্যাদি।
-তো শুরু করা যাক-
আপনি যে প্রোগ্রামিং ভাষায় পারদর্শী বা আপনি যেই ভাষায় পারেন আপনাকে আগে বেসিক বিষয়গুলো জানতে হবে। এবং সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। এখন বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং সমস্যার সমাধান রিলেটেড ইভেন্ট বা কন্টেস্ট থাকে। আপনি সেই ইভেন্টগুলোতে চাইলেই জয়েন করতে পারেন। ফলাফল যাই হোক না কেন আপনাকে সাহস করে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রথম দিকে হয়তো বা তেমন ভালো ফলাফল পাবেন না কিন্তু আস্তে আস্তে এটি অনেক অনেক হেল্প করে। সফল না হলেও এটলিস্ট কিছু বিষয়ের সম্পর্ক অবশ্যই আপনি শিখতে পারবেন। বর্তমানে অনেক সাইটেই এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করা যায়। যেমন: Hacker Rank, Codwars ইত্যাদি। সাইটগুলোতে নিয়মিতই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা চলে। আপনি জেনে সেখানেও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেখতে পারেন আপনার স্কিল কতটুকু এবং আপনি কতটুকু সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তা আপনি জানতে পারবেন।
আপনি যদি কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ-র উপর এক্সপার্ট হন তাহলে, বিভিন্ন প্লাটফর্মে এইটি বিক্রি করতে পারেন। নতুন ও পুরোনো, সকল ধরনের প্রোগ্রামারের এই ধরনের বই বিভিন্ন প্রয়োজনে দরকার পড়ে। যেহেতু আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করতেছেন সেহেতু এটি অনেকটা বুদ্ধিমানের কাজ। এমনকি অ্যামাজন এর মত ওয়েবসাইটে ই-বুক বিক্রি করতে পারেন। E-Book র চাহিদা দিন দিন বাড়তেছে।
- Freelancing: আমরা মোটামুটি অনেকই শুনছি ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা কামাতে হয় ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে খুব শিঘ্রই ব্লগ আসতেছে তো চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। এখন অনলাইনের যুগ সবকিছু এখন আমাদের হাতের মুঠে । সবকিছু চাইলে আমরা করতে পারতেছি। বর্তমানে Upwork, Freelancer.com, Fiverr এর মত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত অসংখ্য ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে। যা আপনি যদি Skillful হলে আপনি কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিয়মিত আয় করা যায় এমন জবও পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে প্রোগ্রামিং এর বর্তমানে অনেক কাজ পাওয়া যায়। প্রথমত, আপনি চাইলে সোস্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে পারেন, যেমন: ফেইসবুক, লিংকডন, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি র মত প্ল্যাটফর্মে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে ডেডিকেটেড ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে গিগ তৈরী করে কাজ পেতে পারেন। So It’s Defends Up to you.
এছাড়া বিভিন্ন Edtech Platform যেমনঃ Udemy, CourseSera, ইত্যাদি জায়াগায় কোর্স বিক্রি করতে পারেন। আর এই প্ল্যাটফর্মে যেকেউ ফ্রিতে একাউন্ট খুলে অন্যদের শিখিয়ে, কোর্স তৈরী করে ও তা সেল করে আয় করতে পারে। আবার চাইলে ইউটিউব এর মত প্ল্যাটফর্মেও অন্যদের শিখিয়ে আয়ের পাশাপাশি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন Ed-tech Training Center এ ক্লাস নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন চাইলে।
-
Make Apps:
প্রোগ্রামিং করে এপ্স বানিয়ে এখন লাখ লাখ টাকা কামানো যায়। বিভিন্ন রকমের সার্ভিস এপ্স আছে বর্তমানে এগুলোর মতো চাইলে আপনি এপ্স বানিয়ে লাখ লাখ টাকা কামাতে পারেন। শুরুতে ফ্রি ট্রায়াল এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন, যেখানে সেবা পছন্দ হলে গ্রাহকরা কিনে নিবে। ডেভলপার হিসেবে কাজ হলো গুরুত্বপূর্ণ টুল তৈরী করা, আপনার কাজ যথেষ্ট প্রয়োজনীয় হলে তা নিজ থেকে বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ চ্যানেলের মাধ্যমে আয়ের পথ খুলে দিবে। এইটা মনে রাখতে হবে একজন ডেভেলপার একজন সফটওয়্যার হতে পারে।
So, সময়কে কাজে লাগান ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। আজকের ব্লগ এতটুকুই যদি আজকের ব্লগটি আপনার কাছে ভালো লাগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না । ভালো থাকবেন সবাই কথা হবে আবার কোনো একটা ব্লগে।
Mohammad Jubair,
IT Officer, Codex Devware.
This Blog Edited By Sourov Dey
by Sourov Dey | Jun 18, 2022 | development
গেম খেলতে আমরা কে না পছন্দ করি! আপনি কি জানেন, এই গেম ডেভেলপমেন্ট কত বড় ইন্ডাস্ট্রি? এখানে অসংখ্য মানুষ কাজ করছেন এবং অনেক পরিমাণে অর্থ রোজগার করছেন। So, আজকের ব্লগ হলো, গেম কি জিনিস? গেম ডেভেলপ করে কি করে ? এবং কি কেন কিভাবে? আজকের গেম ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন ব্লগ টি দুইটা পার্ট পাবলিশ হবে- তো চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। শুরু করা যাক—
-Part-01
-আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ করেন বা গেম কিভাবে তৈরি করার জন্য, আপনার মনে ইচ্ছা থাকে তবে এই ব্লগটি আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। আপনি এই ব্লগ এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি একজন সম্পূর্ণ গেম ডেভলপার হয়ে উঠতে পারবেন। এবং কিভাবে কি করা যায়-?
-আমদের শিখতে হলে যেগুলো জানা লাগবে-
গেম ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যেহেতু কিছুটা গ্রাফিক্সের কাজ এবং প্রোগ্রামিং এর কাজ জড়িত সেহেতু একটু ভালো মানের কম্পিউটার আমাদের এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। তবে এমন কোনো বড়লোক ওয়ালা পিসি লাগবে না। আসলে এমন একটি কম্পিউটার প্রয়োজন হবে যেটি মর্ডান যেসব সফটওয়্যার সাপোর্ট করে । যেহেতু গ্রাফিক্সের বেশ কিছু কাজ আমাদেরকে এক্ষেত্রে করতে হবে সে ক্ষেত্রে একটি গ্রাফিক্স কার্ড যদি আপনার কম্পিউটারে যুক্ত থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনি কাজগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন।-
-আপনার যা কিছু শিখতে হবে ?-
গেম ডেভলপার হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু জিনিস শিখতে হবে এবং প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। নিচে আপনাদেরকে যে সকল জিনিস শিখতে হতে পারে তার একটি লিস্ট নিম্নে দিয়ে দিয়ে দিব-
Game Engine শিখতে হবে-?
প্রশ্ন আসে Game Engine জিনিস টা কি? গেম ইঞ্জিন হচ্ছে একটি সফটওয়্যার ফ্রেমওয়ার্ক, যেটির মধ্যে মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার সবকিছুই একপ্রকার ব্যবহার হয়ে দেওয়া থাকে। একজন গেম ডেভলপার খুব সহজেই গেম ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন, যেমন: একটি ক্যারেক্টর তৈরী করা, ক্যারেক্টার এর বিভিন্ন বিষয়কে ঠিক করে দেওয়া এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস তৈরি করা ইত্যাদি। থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু গেম ইঞ্জিনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার জন্য আমাদের সবার আগে এবং সবথেকে জোর দিয়ে মূলত গেম ইঞ্জিন শিখতে হবে।
-আপনার প্রোগ্রামিং শিখতে হবে-
প্রোগ্রামিং কি, কেন, কিভাবে সব কিছু বিস্তারিত দেওয়া আছে আমাদের একটি ব্লগে। ——– এই লিংকে গিয়ে যেনে আসুন । তাও একটু হালকা করে বলি।
সাধারণভাবে গেইম ইঞ্জিন দিয়ে আপনি খুব সহজেই একটি গেম তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু গেমের বিভিন্ন সাধারণ বিষয় রয়েছে অর্থাৎ একটি ক্যারেক্টার নাড়াচাড়া করা বা কোন একটি ক্যারেক্টার কে কিল করলে একটি পয়েন্ট যোগ করা এবং ক্যারেক্টার কিভাবে নড়াচড়া করবে এসব বিষয়কে ঠিক করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের প্রয়োজন হবে। সাধারণভাবে কোনো একটা জিনিসকে তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে।
এই মুহূর্তে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে আপনি গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। তবে এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষাকে ব্যবহার করা উচিত যেটা বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধানে আমরা ইন্টারনেটে খুঁজে পেতে পারি এবং যেটা ব্যবহারের সহজ হয় এছাড়াও ডিভাইস যাতে খুব কম পাওয়ার ব্যবহার করে কাজ করতে পারে। এ সকল দিক বিবেচনা করলে C++ সবথেকে বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ গেম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।- এছাড়াও আরও অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Java, Python, Kotlin, Swift ইত্যাদি ।
-সার্ভার সাইড কাজ শিখতে হবে-
আপনি যদি একটি মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে server-side কাজ শিখতে হবে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্লেয়ার খেলবে তাদের ডাটাগুলোকে এক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানের প্লেয়ারদেরকে দেখাতে হবে।
বিগেনারদের জন্য সবথেকে সহজ এবং ভালো মাধ্যমটি হচ্ছে হচ্ছে Firebase। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে পারব এবং বিভিন্ন ইউজারদেরকে একসাথে কানেক্ট করতে পারব। এছাড়াও Firebase এ রয়েছে ইউজারদের অথেন্টিকেশন থেকে শুরু করে আরো অনেক কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।–
তো আজকের ব্লগ এত টুকু-ই, গেম ডেভেলপমেন্ট করে কিভাবে আয় করতে হয়? এবং গেম ডেভেলপমেন্ট-র আরো বিস্তারিত ব্লগ So, চোখ রাখুন আমদের Website-এ
This Blog Edited By Sourov Dey
by Mohammad Jubair | May 27, 2022 | development, Programming
মোবাইল অ্যাপস কি?
সাধারণত মোবাইল অ্যাপস আমরা সবাই চিনি। বর্তমান যুগে বেশি চলছে Android-র ব্যবহার । আর তাই অ্যাপস কি কাজে ব্যবহার হয়, তা আর কারো অজানা নেই । আমরা প্রতিনিয়ত যে অ্যাপসগুলো ব্যবহার তার মধ্যে হলো, ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, বিকাশ, নগদ , ইনস্টাগ্রাম , ক্যামেরা ইত্যাদি আর ও অনেক আছে । আমরা সবসময় শুধু ব্যবহারের পারদর্শী হই । কিন্তু তৈরি কিভাবে করে বা কেন তৈরি করে কে তৈরি করে তা তেমন কিছু ঘাটাঘাটি করি না। যেটি আমাদের একটি চরম মাত্রায় ভুল ও বোকামী। এক বার ভাবুন তো, ফেইসবুক নির্মাতা মার্ক জুকারবার্গ কি সব একা তৈরি করেছিলেন ? ফেইসবুক তৈরি করতে প্রায় ৫ জন ডেভেলপার ছিল। ফেইসবুক ওয়েবসাইট তৈরি করে , মোবাইলে অ্যাপস টি ও মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সব কি তিনিই নিজের হাতে তৈরি করেছেন ? না কখনো না। তিনি বিভিন্ন কাজ তার কর্মচারীদের দিয়ে করিয়ে থাকেন ।
সাধারণত এসব কাজ করে নেওয়ার জন্য যেমন ফেইসবুক নির্মাতা তার কর্মচারীদের পেমেন্ট করেন , ঠিক তেমনি এই পৃথিবীতে লাখ লাখ কোম্পানি এজেন্সি ও সার্ভিস প্রদানকারী রয়েছে, যারা তাদের কোম্পানী ও সার্ভিস মানুষের হাতের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে নেয় । যেমন ধরুন, Daraz.com একটি প্রোডাক্ট কেনার ওয়েবসাইট। এখানে ভিজিট করলে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট কিনতে পারি। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের আবার অ্যাপস Daraz কেন? তাহলে এখনোই থেকে আমরা বুঝতে হবে যে প্রতিটি কোম্পানীর এখন তাদের অ্যাপস তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। আর আমরা সেটি করে দিচ্ছে তারা যারা আজ অ্যাপস ডেভেলেপার ।
একটি ই-কর্মাস ওয়েবসাইটের অ্যাপস তৈরি করতে পারলে মিনিমাম ৩০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। যা বাংলা টাকাই দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ।
অ্যাপস ডেভেলমেন্ট শিখতে হলে যা যা শিখতে হবে, নিচে তা একটু OverView দেওয়া হলো।
- JAVA
- SQL
- XML
- Android Studio Software
- Web Development
- And More Apps Development Software if Needed
- JavaScript Framework React Native (Better)
উপরের স্কিল গুলো জানা থাকলে একটি ডাইনামিক অ্যাপস তৈরি করা সম্ভব।
-এখন একটু ল্যাংগুয়েজ গুলোর OverView নিচে দেওয়া হলো।
JAVA: JAVA একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেটি ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস , ডেস্কটপ অ্যাপস, গেমস, ওয়েব অ্যাপস ইত্যাদি বানানো যায়।
1991 সালে MicroSystem Incorporation নামক কোম্পানি। JAVA ল্যাংগুয়েজ আবিষ্কার করেন যার নির্মাতার নাম হলো James Gosling.
SQL : SQL সর্বপ্রথম সংস্করণটি IBM তৈরি করে এর স্যান জোসি গবেষণাগারে (বর্তমানে এলমাডেন গবেষণাকেন্দ্র)। ৭০’র দশকের প্রথমদিকে আইবিএম তার সিস্টেম আর প্রোজেক্ট এর অংশ হিসাবে এসকিউএল তৈরি করে। তখন এর নাম ছিল সিকুয়েল। এই সিকুয়েল ভাষাটিই সময়ের সাথে সাথে পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত হয়ে বর্তমানে এসকিউএল(স্ট্রাকচার্ড কুয়েরি ল্যাংগুয়েজ) নামে পরিচিতি পেয়েছে। অনেক সফটওয়্যার পণ্য এখন এসকিউএল কে সাপোর্ট করে থাকে। বর্তমানে অবসংবাদীভাবে SQL আদর্শ রিলেশন্যাল-ডেটাবেজ ভাষা।
XML : XML এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, Extensible Markup Language. XML, HTML এর মতই একটি মার্কআপ ল্যঙ্গুয়েজ, তবে এটি কোন প্রোগ্রামিং ল্যঙ্গুয়েজ নয়। HTML এ যেমন Tag এবং attribute আছে, একইভাবে XML এ Tag এবং attribute আছে। পার্থক্য হচ্ছে, HTML এর Tag গুলো (যেমন body, h1, p ইত্যাদি) নির্দিষ্ট করা থাকে , আর Xml এ আপনি নিজের ইচ্ছেমত element/tag বানাতে পারবেন। HTML এর সাথে XML এর বড় একটা পার্থক্য হচ্ছে XML এ attribute দিয়ে এলিমেন্টের ভিতর কি ডেটা আছে সেটা বর্ননা করা যায়, HTML এ এমন সুবিধা নেই। তাছাড়া HTML বানানো হয়েছে ব্রাউজারে Data প্রদর্শনের জন্য আর XML মুলত বানানো হয়েছে ডেটা সংরক্ষণ এবং এই ডেটা অন্য সিস্টেমের সাথে আদান প্রদান করার জন্য।
Android Studio Software : বর্তমান বিশ্বে App development এর মাধ্যমে নিজেদের সফল ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে। আর তাই যদি আপনিও এই সেক্টরে আসতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে বলবো নিসন্দেহে আপনি কোনো খারাপ সিদ্ধান্ত নেন নি।
App Development নিয়ে রিসার্চ করলে নিশ্চই Android Studio এর নাম শুনে থাকবেন। এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেটিকে ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রথম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
Web Development : Web Development নিয়ে আমাদের একটি ব্লগ আছে যেটি
আমাদের ওয়েবসাইটে আছে । এই লিংকে গিয়ে দেখে আসুন Web Development এর A to Z.
React Native : React Native হলো Javascript-র একটি Framework যেটি ব্যবহার
Android & IOS অ্যাপস বানানো সম্ভব । বর্তমানে React Native র প্রচুর জনপ্রিয়
হয়ে উঠেছে । ফেসবুকে কর্মরত সময়ে রিয়েক্টজেএস (ReactJS) এর জনক Jordan
Walke জাভাস্ক্রিপ্ট থ্রেড থেকে iOS এর জন্য ইউজার ইন্টারফেস (UI) এলিমেন্টগুলো তৈরি করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন যা রিয়েক্ট এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ফেসবুক ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রিয়েক্ট.জেএস (React.js) এর সম্মেলনে রিয়েক্ট নেটিভ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এটিকে ওপেন-সোর্স করে দেয়া হয়। ফলে বহু ডেভেলপার এর সংস্করণে কাজ করেছে এবং করে যাছে।
শেষ কথা : Mobile Apps Development সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বেস্ট চয়েজ । একজন Mobile Apps Developer এর বেতন মাসে প্রায় ৫০০০-৮০০০ ডলার যেটা বাংলা টাকাই ৪+ লাখ টাকা । তাই বর্তমানে Mobile Apps Development র চাহিদা আকাশছোঁয়া ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
by Mohammad Jubair | Apr 8, 2022 | design, development, Programming, web design, web development
Web Design মানে হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারন রূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা।
ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সাইটের টেম্পলেট বানানো। যেমন ধরুন এটার লেয়াউট কেমন হবে। হেডারে, মেনু কোথায় থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কি হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ। সোজা ভাষায় বলতে গেলে আমরা ফেইসবুকে ভিজিট করলে যেই পরিবর্তন টা দেখতে পাই তা একটা ডিজাইন। আর এই ডিজাইন নির্ধারণ করতে ব্যবহার করতে হবে কিছু টুলস যেমন PHOTOSHOP, GIMP ইত্যাদি এবং কিছু Markup এবং Scripting Language যেমন HTML, CSS এবং JavaScript ইত্যাদি।
ওয়েব ডিজাইনারদের কে আমরা Front-end ডেভেলপার ও বলতে পারি। এখন Web design শিখতে কোন কোন ভাষা জরুরী…???
1. HTML
2. CSS
3. Bootstrap
4. JavaScript
5. JQuery
-উপরোক্ত গুলো জানা থাকলে একজন Web Designer হওয়া সম্ভব। এখন আমরা হালকা করে Development সম্পর্কে জেনে আসি ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে একটা ওয়েব সাইটের প্রাণ সঞ্চার করা। একজন ওয়েব ডিজাইনার যে ডিজাইন তৈরি করেন তার প্রতিটা উপকরণকে ফাংশনাল এবং ডাইনামিক করার জন্য পরিচালিত কর্মকান্ডই হচ্ছে Web Development।
একটা ওয়েব সাইট কে তিনটা ভাগে বিভক্ত করা যায় যেমন
১.ডিজাইন বা টেমপ্লেট ২.কনটেন্টম্যানেজমেন্ট ৩.সিস্টেম এবং ডাটাবেস।
একজন ওয়েব ডেভেলপার এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে পুরো সিস্টেমটি কে সক্রিয় এবং ডাইনামিক করে থাকেন। একজন ওয়েবডেভেলপারের কাজ হচ্ছে
ডাটা প্রসেসিং,
ডাটাবেস নিয়ন্ত্রণ,
সিকিউরিটি নির্মান,
ইউজার এবং
এডমিনের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকরা,
এপ্লিকেশনের সকল ফিচারকে ফাংশনাল এবং ডাইনামিক করা এবং সমগ্র সিস্টেমের কার্যকারীতা এবং ব্যবহার যোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা । Web Design নিয়ে শেষ কথা । আপনাকে একজন ভালো ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে
PHP , MySQL এর পাশাপাশি HTML, CSS, JAVASCRIPT, JQUERY, Bootstrap এর সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখতে হবে। এছাড়া এর বাইরে নতুন টেকনোলজী হিসেবে আসছে বর্তমানে JavaScript এর Framework React Js , Vue Js, Angular Js. এগুলো জানলে আপনি একজন Front End Web Developer. (NB): JavaScript এর Framework যেকোনো একটা জানলে হবে ।