by admin | Dec 10, 2022 | codex blog, design, development, How to become a skilled software engineer?, Programming, software engineer, web development
তুমি যদি একজন সমস্যার সমাধানকারী হও যে কিনা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান অথবা কোন কাজকে সহজ করে তুলতে পছন্দ করো তবে তুমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সফল ক্যারিয়ার পেতে পারো।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটি শাখা যেখানে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডিজাইন, নির্মাণ, পরীক্ষণ এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করা হয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যার সমাধান তৈরি করতে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা ও প্রোগ্রামিং জ্ঞানের প্রয়োগ করে।
সফল দক্ষ
ইঞ্জিনিয়াররা জানেন কিভাবে সঠিক প্রোগ্রামিং ভাষা, প্ল্যাটফর্ম এবং আর্কিটেকচার ব্যবহার করে কম্পিউটার গেম থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল সিস্টেম এর মত জটিল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হয়।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা তাদের নিজস্ব সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার পরীক্ষা, আপডেট ডেভেলপমেন্ট ও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে থাকেন।
Meta এর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুরতাদা আল-তামিমি বলেছেন, ” সমস্যা সমাধান করা লাগে এ ধরনের কোন কিছু দেখলেই আমি অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়ি, কারণ তা থেকে আমি একটি অ্যাপ্লিকেশনের নতুন ফিচারস অথবা ওই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন অ্যাপ্লিকেশন কিভাবে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করি।”
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমার প্রতিদিনকার কাজগুলো হতে পারে :
- নতুন সফটওয়্যার সিস্টেম ডিজাইন ও মেনটেনেন্স
- নতুন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি ও তা পরীক্ষা করা
- কোড লেখা ও তা পরীক্ষা করা
- ক্লায়েন্ট, ইঞ্জিনিয়ার, সাইবার এক্সপার্ট ও অন্যান্যদের সাথে সফটওয়্যার এর উন্নতি নিয়ে পরামর্শ করা।
- গ্রাহককে সফটওয়্যার এর বিভিন্ন নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য এবং এর কাজ উপস্থাপন করা।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত দুটি বিষয়ের মধ্যে একটি নিয়ে পড়ালেখা ও দক্ষতা অর্জন করেন, তা হলো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। একজন সিস্টেম ডেভলপার অর্থাৎ ব্যাকএন্ড
ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক এর মত জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করে। আর একজন অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার সাধারণত কম্পিউটার সফটওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর মত জিনিস গুলো নিয়ে কাজ করে।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে কত সময় লাগে?
চার বছরের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিজ্ঞানের Bsc ডিগ্রি নেওয়া উচিত। কিছু শিক্ষার্থী তাদের কোর্সকে চ্যালেঞ্জিং মনে করতে পারে এবং তাদের শেখার এবং বোঝার জন্য আরও বেশি সময় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে এখনও প্রায় চার বছরের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হওয়া উচিত।
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে শিখুন
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে শেখা অত্যন্ত জরুরি। একজন ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে তাকে ভালো প্রোগ্রামার হতে হবেই। এর জন্য এক বা একাদিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এ আপনার দক্ষতা দরকার।যত বেশি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে আপনি জানবেন পেশা হিসাবে আপনার কাছে এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এর মধ্যে শেখা দরকার :Python, JavaScript, C#, C++, Ruby, Javaএর মধ্যে Python,জাভাস্ক্রিপ্ট,CSS ,HTML আপনাকে জেনে রাখতে হবে।
কোনো বেসিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে এগুলি অনেক ব্যাবহার হয়। এছাড়া ডাটা সাইন্স আর মেশিন লার্নিং ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষেত্রেও Python,R এর ব্যাবহার অনেক। আর যেহেতু সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি কোর তথ্যপ্রযুক্তি এর মধ্যে পরে তাই এর জন্য বিষয় গুলি সবসময় আপডেট হতে থাকে। তাই আজকে আপনি যদি কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে এর একটি ভার্সন শিখলেন,সেটি আবারো কিছুদিন পরে আপডেট হলে শিখে নিতে হবে। তাই এই পরিবর্তন এর সাথে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর চাকরির সুযোগ হিসাবে দেশ বিদেশে অনেক আছে. দেশের মধ্যে বড় বড় IT কোম্পানি যেমন TCS ,IBM ,Accenture এ অনেক ভালো মানের চাকরি পাওয়া যায়। অনেক সময় কলেজ ক্যাম্পাসিং থেকে এই সুযোগ চলে আসে কোর্স করতে করতেই। তাই ভালো ভাবে কোর্স /ডিগ্রী শেষ করলে চাকরির অভাব হয় না।
Writer : Iftakhar Ahmed
by admin | Jun 6, 2022 | life hack tips
আজকে একটু ভিন্ন টপিকে আলোচনা হবে।
যে ১০টি কম্পিউটার স্কিল অর্জন না করলেই নয়!
ছাত্রজীবনকে বলা যায় জীবন গঠনের উপযুক্ত সময়। কেননা এই সময়টাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি এমনকিছু গুণ ও দক্ষতা অর্জন করে থাকে, যা সারাজীবন তাদের কাজে লাগবে। বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ৷ কম্পিউটার ছাড়া আজকাল সবকিছু একেবারেই অচল বলা চলে৷
কী করা যায় না কম্পিউটার দিয়ে? অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, স্কুলের সায়েন্স প্রোজেক্ট বানানো, বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যানার তৈরি, কলেজের প্রেজেন্টেশনসহ অনেক কিছুই কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা সম্ভব। আর কম্পিউটার এর কিছু নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন করতে পারলে তুমি তোমার সহপাঠীদের তুলনায় এগিয়ে থাকবে কয়েকশো গুণ!
কিন্তু এইসব স্কিল শিখতে চাইলে সাথে থাকা লাগবে ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট সংযোগ তোমাকে পুরো পৃথিবীর নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে। এতে করে তোমার কাজ হয়ে উঠবে আরো সহজ ও মজাদার! পরীক্ষার আগে পড়া যেমন জরুরি, তেমনি চাকরিতে ঢোকার আগে কিছু কম্পিউটার স্কিল থাকাও প্রয়োজন।
নিচে এমন কিছু স্কিল শেয়ার করা হলো যা আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে দিবে-
- বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং দক্ষতা:
মোবাইলে আমরা সবাই আরাম-সে টাইপ করতে পারলেও কম্পিউটার এর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে টাইপ করা কিন্তু একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। টাইপ করার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৪০টি শব্দ এবং বাংলা ২৫টি শব্দ টাইপ করতে পারতেই হবে।
আমাদের প্রায়শই বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের জন্য একজন টাইপিস্টের কাছে শরণাপন্ন হই। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি ভালোভাবে টাইপ করতে পারি, তাহলে বাইরের কাউকে দিয়ে টাইপ করানোর প্রয়োজন হবে না। এতে করে নিজের অর্থ এবং সময়- দুটোই বাঁচবে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে ডক ফাইল তৈরি করা হলো আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার স্কিল। Microsoft Word ও Google Docs এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং বিনামূল্যে ফাইল তৈরি করা যায়। Microsoft Word হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ডকুমেন্ট তৈরির সফটওয়্যার। ৯০% মানুষ নিজেদের কাজে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে।
গাণিতিক সমস্যাবলী এবং ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা:
যখন কেউ গাণিতিক সমস্যা কিংবা কোনো হিসাব-নিকাশের কথা বলে, তখন মাথায় আসে Microsoft Excel বা Google Sheets এর নাম। Microsoft Excel বা Google Sheets মূলত হলো একধরণের spreadsheet। সেখানে বিভিন্ন ধরণের টেবিলের মাধ্যমে কোনোকিছুর পরিসংখ্যান দেখানো হয়। যেমন: শেয়ার বাজারের সূচক, অফিসের কর্মীদের কাজে আসার সময়সূচী, শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ইত্যাদি।
Presentation এর দক্ষতা: প্রোজেক্ট ডিসপ্লে এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে সেই দুইটি সফটওয়্যার আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে, তা হলো Google Slides এবং Microsoft PowerPoint। এই দুইটি সফটওয়্যার প্রায় একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।
Graphic Designing:
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছর জুড়েই কোনো না কোনো ইভেন্টের আয়োজন করা হয়৷ ইভেন্টের প্রচারণার জন্য প্রয়োজন ম্যাগাজিন, ব্যানার ও পোস্টার৷ আর তুমি যদি কম্পিউটারে Adobe Photoshop আর Adobe Illustrator ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে থাকো, তাহলে তোমাকে আর ঠেকায় কে? এসব কাজের জন্য সবার আগে কিন্তু তোমাকেই ডাকা হবে!
বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার:
কম্পিউটার বা ফোনের কোনো পার্টস নষ্ট হয়ে গেলে, সেটা ঠিক করার অন্তত বেসিক উপায়টা শেখা জরুরি। আমাদের জানা উচিত যে কীভাবে সফটওয়্যার কিনতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও পিসি কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হয় এবং ভাইরাসমুক্ত রাখা যায় সেটাও জানতে হবে। হার্ডডিস্ক, বেসিক ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কেও ধারণা রাখা প্রয়োজন।
Social Networking:
সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সবচেয়ে কার্যকরী জায়গা। কারণ এইসব সাইটগুলোতে আমরা নানান ধরণের ও পেশার মানুষের সাথে পরিচিত হই। এইসব মানুষেরা আমাদের পরবর্তীতে নানান উপকারে আসতে পারেন।
তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং স্কিলসের মধ্যে তুমি কীভাবে কার সাথে কথা বলবে, নেগেটিভিটি কীভাবে এড়িয়ে চলবে- এগুলোও অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইন নৈতিকতা এবং নিরাপত্তা: অনলাইনে কাজ করতে গেলে যেই জিনিসটা নিয়ে সবাই একদম প্রথম সতর্ক করে, তা হলো অনলাইনে আমাদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া দরকার৷ অনেক সময় আমরা আমাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়ায় করে ফেলি, কাউকে নিয়ে কটুক্তি করি৷ কিন্তু এগুলো করা একদমই উচিত নয়৷ ভার্চুয়াল জগতে সব অনেক বেশি খোলামেলা। তাই অনলাইনে কাজ করার সময় আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো।
অনলাইনে কাজ করা:
আজকাল এমন অনেক ধরণের কাজ তৈরি হচ্ছে, যা ঘরে বসেই করা যায়। যেমন: freelancing, online business, blogging, marketing, copywriting, ইত্যাদি। সেইসব কাজ করার জন্য প্রয়োজন নিজের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। তাই অনলাইনে কাজ করতে হলে কিন্তু কম্পিউটার স্কিল গুলো আয়ত্ত করার প্রয়োজন আছে!
এইতো, একজন ছাত্র বয়সে এই স্কিল গুলো থাকা অত্যাবশক।
ধন্যবাদ সবাইকে-
মোহাম্মদ জোবাইর