by Sourov Dey | Jun 18, 2022 | development
গেম খেলতে আমরা কে না পছন্দ করি! আপনি কি জানেন, এই গেম ডেভেলপমেন্ট কত বড় ইন্ডাস্ট্রি? এখানে অসংখ্য মানুষ কাজ করছেন এবং অনেক পরিমাণে অর্থ রোজগার করছেন। So, আজকের ব্লগ হলো, গেম কি জিনিস? গেম ডেভেলপ করে কি করে ? এবং কি কেন কিভাবে? আজকের গেম ডেভেলপমেন্ট গাইডলাইন ব্লগ টি দুইটা পার্ট পাবলিশ হবে- তো চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। শুরু করা যাক—
-Part-01
-আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ করেন বা গেম কিভাবে তৈরি করার জন্য, আপনার মনে ইচ্ছা থাকে তবে এই ব্লগটি আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। আপনি এই ব্লগ এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি একজন সম্পূর্ণ গেম ডেভলপার হয়ে উঠতে পারবেন। এবং কিভাবে কি করা যায়-?
-আমদের শিখতে হলে যেগুলো জানা লাগবে-
গেম ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যেহেতু কিছুটা গ্রাফিক্সের কাজ এবং প্রোগ্রামিং এর কাজ জড়িত সেহেতু একটু ভালো মানের কম্পিউটার আমাদের এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। তবে এমন কোনো বড়লোক ওয়ালা পিসি লাগবে না। আসলে এমন একটি কম্পিউটার প্রয়োজন হবে যেটি মর্ডান যেসব সফটওয়্যার সাপোর্ট করে । যেহেতু গ্রাফিক্সের বেশ কিছু কাজ আমাদেরকে এক্ষেত্রে করতে হবে সে ক্ষেত্রে একটি গ্রাফিক্স কার্ড যদি আপনার কম্পিউটারে যুক্ত থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনি কাজগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন।-
-আপনার যা কিছু শিখতে হবে ?-
গেম ডেভলপার হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু জিনিস শিখতে হবে এবং প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। নিচে আপনাদেরকে যে সকল জিনিস শিখতে হতে পারে তার একটি লিস্ট নিম্নে দিয়ে দিয়ে দিব-
Game Engine শিখতে হবে-?
প্রশ্ন আসে Game Engine জিনিস টা কি? গেম ইঞ্জিন হচ্ছে একটি সফটওয়্যার ফ্রেমওয়ার্ক, যেটির মধ্যে মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার সবকিছুই একপ্রকার ব্যবহার হয়ে দেওয়া থাকে। একজন গেম ডেভলপার খুব সহজেই গেম ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন, যেমন: একটি ক্যারেক্টর তৈরী করা, ক্যারেক্টার এর বিভিন্ন বিষয়কে ঠিক করে দেওয়া এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস তৈরি করা ইত্যাদি। থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু গেম ইঞ্জিনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার জন্য আমাদের সবার আগে এবং সবথেকে জোর দিয়ে মূলত গেম ইঞ্জিন শিখতে হবে।
-আপনার প্রোগ্রামিং শিখতে হবে-
প্রোগ্রামিং কি, কেন, কিভাবে সব কিছু বিস্তারিত দেওয়া আছে আমাদের একটি ব্লগে। ——– এই লিংকে গিয়ে যেনে আসুন । তাও একটু হালকা করে বলি।
সাধারণভাবে গেইম ইঞ্জিন দিয়ে আপনি খুব সহজেই একটি গেম তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু গেমের বিভিন্ন সাধারণ বিষয় রয়েছে অর্থাৎ একটি ক্যারেক্টার নাড়াচাড়া করা বা কোন একটি ক্যারেক্টার কে কিল করলে একটি পয়েন্ট যোগ করা এবং ক্যারেক্টার কিভাবে নড়াচড়া করবে এসব বিষয়কে ঠিক করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের প্রয়োজন হবে। সাধারণভাবে কোনো একটা জিনিসকে তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে।
এই মুহূর্তে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে আপনি গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। তবে এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষাকে ব্যবহার করা উচিত যেটা বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধানে আমরা ইন্টারনেটে খুঁজে পেতে পারি এবং যেটা ব্যবহারের সহজ হয় এছাড়াও ডিভাইস যাতে খুব কম পাওয়ার ব্যবহার করে কাজ করতে পারে। এ সকল দিক বিবেচনা করলে C++ সবথেকে বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ গেম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।- এছাড়াও আরও অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Java, Python, Kotlin, Swift ইত্যাদি ।
-সার্ভার সাইড কাজ শিখতে হবে-
আপনি যদি একটি মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে server-side কাজ শিখতে হবে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্লেয়ার খেলবে তাদের ডাটাগুলোকে এক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানের প্লেয়ারদেরকে দেখাতে হবে।
বিগেনারদের জন্য সবথেকে সহজ এবং ভালো মাধ্যমটি হচ্ছে হচ্ছে Firebase। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে পারব এবং বিভিন্ন ইউজারদেরকে একসাথে কানেক্ট করতে পারব। এছাড়াও Firebase এ রয়েছে ইউজারদের অথেন্টিকেশন থেকে শুরু করে আরো অনেক কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।–
তো আজকের ব্লগ এত টুকু-ই, গেম ডেভেলপমেন্ট করে কিভাবে আয় করতে হয়? এবং গেম ডেভেলপমেন্ট-র আরো বিস্তারিত ব্লগ So, চোখ রাখুন আমদের Website-এ
This Blog Edited By Sourov Dey
by Sourov Dey | Jun 16, 2022 | Digital Marketing, Uncategorized
ড্রপ শিপিং কি?
ড্রপ শিপিং হলো কোনো সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান অথবা যেকোন বিশ্বাসযোগ্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রচার করে বিক্রয় করাকে ড্রপ শিপিং বলা হয়ে থাকে। ড্রপ শিপিং এর জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতামূলক বটে।
আপনি কোনো একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট ( যেমন- আলিবাবা, আলী এক্সপ্রেস বা অ্যামাজন ) এমন যে কোনো একটি ই-কমার্স সাইটের পণ্য আপনার ওয়েবসাইটে দেখিয়ে বিক্রি করে দিলেন। কাস্টমার কিন্তু আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনলো এবং আপনাকে পেমেন্ট করবে। আপনি তার সেই পণ্যের অর্ডারটি অন্য কোনো সাইট এ অর্ডারটি সাবমিট করে দিলেন। ওই সাইড থেকে পণ্য আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটিতে আপনাকে দেয়া ক্রেতার নাম ও ঠিকানা অনুযায়ী ঐ পণ্যটি পৌঁছে দিলেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বলে দিতে হবে যে, ওই মাদার ওয়েবসাইট যেন কোনো রকম নিজেস্ব প্যাকেট ব্যবহার না করে। মূলত এটিই ড্রপ শিপিং।
মাঝখান থেকে আপনি কিছু প্রফিট করলেন। তবে লক্ষনীয় বিষয় হলো আপনি যেসকল সাইটের পণ্য নির্বাচন করবেন সেগুলোর দাম এবং পণ্যের মান আপনাকে ভালোভাবে আগে থেকেই যাচাই করে নিতে হবে। ক্রেতারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট কিনবে কারণ সে আপনাকে বিশ্বাস করছে। তাই আপনাকে বিশ্বাস অর্জনের জন্য পণ্যের মূল্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ড্রপ শিপিং অনেকটা দালালি ব্যবসার মতই। আপনি অন্য কোন একটি ওয়েবসাইটের পণ্য কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে কিছু প্রফিট তুলে নিলেন, এখানে আপনাকে বিনিয়োগ বলতে শুধু আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট মাত্র। মূলত পণ্য আপনাকে কিনতে হচ্ছে না ৷ উদাহরণস্বরূপ : একজন জমির দালাল জমি দেখিয়ে বিক্রি করে দিয়ে লাভ করে থাকে, ড্রপশিপিং অনেকটা তেমনি। মোট কথা হলো- অন্যের ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য আপনার নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রদশর্ন করবেন। এখানে শুধু পণ্যটির আসল দাম যা তা থেকে মানানসই ভাবে একটু দাম বেশি করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে। অতিরিক্ত দামটুকুই আপনার লাভ। এজন্য আপনাকে ভালো মতো ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
সোজা বাংলা ভাষায় ড্রপ শিপিং কি ?
একদম সহজভাবে বলতে গেলে, আপনার নিজের স্টোরে কোন প্রোডাক্টের তথ্য রাখবেন এরপর ক্রেতা গণ আপনার স্টোরে প্রবেশ করে সেই পণ্যটি ক্রয় করতে অর্ডার করল এবার আপনি একজন সরবরাহকারীর নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই প্রক্রিয়াটাই আসলে ড্রপশিপিং। এবার আসি মুনাফার কথায়, ধরুন পন্যটি আপনার স্টোরে আপনি $২০ বিক্রয় করতে চাচ্ছেন কিন্তু পণ্যটির আসল দাম $১৫ এবং ক্রেতা $২০ দামেই পণ্যটি কিনবে আপনার স্টোর থেকে তাহলে আপনার মুনাফা কত হলো? হ্যাঁ $৫, এটাই আপনার মুনাফা । আশা করি, ড্রপ শিপিং ব্যাপারটা আপনার বুঝে এসেছে ৷
আজকের ব্লগ এতটুকুই আগামী ব্লগে ড্রপ শিপিং নিয়ে আরো ব্লগ আসবে ইনশাআল্লাহ
————————————————————————
-বিগত ব্লগে আমরা জেনেছি Dropshipping জিনিস টা কি? কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি। So, আজকে আমরা জানব, Dropshipping করে কিভাবে ইনকাম করতে হয়, এবং এটার সুবিধা-অসুবিধা A to Z । যারা ঐ ব্লগটি পড়েন নাই তারা——–এই লিংকে গিয়ে পড়ে আসুন।
তো শুরু করা যাক-
সুবিধাসমূহ: –
১. শুরু করা অত্যন্ত সহজ :
ড্রপ শিপিংয়ে আপনাকে পণ্য কিনে স্টক করে রাখার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। তাই, শুধু হোস্টিং, ডোমেইন এবং ওয়েব ডেভেলপ করতে যে খরচ করতে হয় তা করলেই হয় ৷ অতিরিক্ত আর কোনো ব্যয় নেই ৷ ফলে আপনার ব্যবসায় মুনাফা কমার ঝুঁকি কম
২. স্বল্প মূলধন প্রয়োজন :
ড্রপ শিপিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ না করেই একটি ই-কমার্স সাইট চালু করা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই খুচরা বিক্রেতাদের বিপুল পরিমাণ মূলধন পণ্য কিনে স্টক করে রাখতে খরচ করতে হয়। ড্রপ শিপিংয়ে আপনার কোন পণ্য বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত, নতুন কোনো পন্য কিনতে হয় না ৷ ক্রেতাদের টাকা দিয়েই পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারবেন
৩. ন্যূনতম ঝুঁকি :
একটি ড্রপ শিপিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিনামূল্যে শুরু করা যেতে পারে। কেবলমাত্র একটি ডোমেন এবং ভালো হোস্টিং নিতে হবে ৷ নতুবা ব্যবসা হারিয়ে যেতে পারে, পরে ব্যবসায়টি আর সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয় ৷ আবার আপনি যদি লাভ করতে সক্ষম না হন, তবে আপনি সহজেই কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ফিরে আসতে পারবেন।
৪. সরবরাহকারী এবং ড্রপশিপিং সাইটের সুবিধা :
ড্রপশিপারকে পণ্য পরিবহণ এবং প্যাকেজিং সম্পর্কে চিন্তা করতে হয় না ৷ সরবরাহকারী পণ্য বিপণন এবং প্রচার উভয়ই করে থাকে ৷ ড্রপ শিপাররা একবারে একাধিক পাইকারদের সাথে কাজ করতে পারে।
৫. মাথা কম খাটানো লাগে :
যেহেতু আপনাকে মাল কেনা কিংবা গুদাম পরিচালনা করার দরকার নেই, সেহেতু আপনার মাথা খাটানো লাগবে না বেশি । প্রকৃতপক্ষে, অনেক সফল ড্রপশিপিং স্টোর বাড়ি বা বাসা-ভিত্তিক ব্যবসা হিসাবে পরিচালিত হয়, এটি পরিচালনা করতে একটি ল্যাপটপ হলেই চলে এবং অপারেট করার জন্য কয়েকটি জিনিসের জন্য খরচ করতে হয়।
৬. নমনীয় অবস্থান :
একটি ড্রপ শিপিং ব্যবসায় যেকোনো জায়গায় করা যায় ৷ শুধু ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন ৷ আপনি চাইলে সরবরাহকারী ও ক্রেতা উভয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন
৭. একাধিক পণ্য বিক্রি করা :
যেহেতু পূর্বে আপনাকে কোনো পণ্য অগ্রিম কিনতে হয় না, তাই আপনি যেকোনো পণ্যের অফার দিতে পারবেন ড্রপ শিপিংয়ে ৷ আপনার স্টকে যদিও কোনো পণ্য থাকে সেটাও কিন্তু বিক্রি করতে পারবেন ৷ এজন্য আপনাকে আলাদা করে কোনো খরচ করতে হবে না ৷
৮. যাচাই করা সহজ :
ড্রপশিপিংয়ের মূল সুবিধা হলো, বিপুল পরিমাণে পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে পণ্যগুলি তালিকাভুক্ত করণ এবং সম্ভাব্য ভাবে বিক্রয় করার ক্ষমতা ৷
-তো আমরা Dropshipping-র অনেক সুবিধা নিয়ে জানলাম । এখন Dropshipping-র কিছু অসুবিধা জেনে আসি-
১. তুমুল প্রতিযোগীতা
প্রায় সকল ই-কমার্স ব্যবসাতে রয়েছে ব্যাপক প্রতিযোগীতা ৷ এই কারণে অনলাইন স্টোরের মালিকগণ মানসম্মত সেবা প্রদান করে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে এবং পণ্য কিনতে ক্রেতারা বেশি পছন্দ করে থাকে ৷ অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা একজন ড্রপ শিপারের সমস্যা হতে পারে যদি ঐ ব্যক্তি তাদের পণ্য বিপণন সম্পর্কে সতর্ক না হয় ।
২. মুনাফা কম
হ্যাঁ! অধিকাংশ ড্রপ শিপারদের প্রবণতা হলো হাল ছেড়ে দেওয়া কারণ মুনাফা খুব কম ৷ যাই হোক, আপনি যদি এটি আন্তরিকতার সঙ্গে করেন, ড্রপ শিপিং কোনো ক্ষণস্থায়ী ব্যবসায় নয় ৷ এটি সব সময় লেগে থাকা এবং ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার মতো। আপনি কীভাবে নিম্ন মুনাফার মার্জিনকে বিশাল আকারে পরিণত করবেন তা চিন্তা করুন ৷ আপনি যদি প্রতিদিন ১০ টি পণ্য বিক্রি করে থাকেন তবে এটি ৫০ স্কেল এ করুন এবং এতে আপনার লাভের পরিমাণ বেশি হবে।
৩. পণ্যের সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা
ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি এমন কোনো পণ্য বিক্রি করবেন যা আপনি আসলে দেখেন নি। অতএব, পণ্যের ব্যর্থতার সম্ভাবনা বেশি। যখন এটি ঘটে তখন গ্রাহকের কাছে আসল পরিমাণ ফেরত দেওয়া এবং সরবরাহকারীর কাছে পণ্যটি ফিরিয়ে দেওয়ার পুরো দায় আপনার উপর বর্তায়।
তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি আতঙ্কিত হওয়া শুরু করবেন। পরিবর্তে, একটি ৩০ দিনের রিফান্ড নীতিমালা তৈরি করুন যাতে গ্রাহক পণ্যটি (যদি) ক্রয় করে সন্তুষ্ট না হন তবে তা ফিরিয়ে দিতে পারে।
৪. অর্ডার পরিচালনা করা ক্লান্তিকর হতে পারে
বেশিরভাগ ড্রপশিপার তাদের চুল টানবে এমন এক সময় যখন তাদের কোনো পণ্য ভাইরাল হয়। তাদের তখন হাজার হাজার অর্ডার পূরণ করতে হয় এবং অর্ডার পরিচালনা করা একটু কঠিন কাজ হতে পারে। তবে অনেক ড্রপশিপিং প্লাগইন রয়েছে যা আপনাকে সাহায্য করবে।
৫. শিপিং জটিলতা
আপনি যদি একাধিক সরবরাহকারী সাথে কাজ করেন এবং আপনার অনলাইন স্টোরের পণ্যগুলো বিভিন্ন ই-কমার্স এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় তবে এটি আপনার শিপিংয়ের খরচ কে জটিল করে তুলবে।
ধরা যাক যে, কোনো গ্রাহক তিনটি আইটেমের জন্য একটি অর্ডার রাখে, সেগুলি কেবল পৃথক পৃথক সরবরাহকারীদের থেকে পাওয়া যায় ৷ প্রতিটি আইটেম গ্রাহককে প্রেরণের জন্য আপনাকে তিনটি পৃথক শিপিং চার্জ নিতে হবে, তবে গ্রাহককে এই চার্জটি প্রদান করানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এমনকি যখন এই চার্জগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তখন এই হিসাবগুলো বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।
-এখন আমরা জানব Dropshipping করে কি আসলে-ই ইনকাম করা যায় ?
আপনার ব্যবসা নিবন্ধন করুন :
বর্তমান বাংলাদেশ আইনের অধীনে আপনাকে যে কোনও ব্যবসায় নিবন্ধন করতে হবে। আপনার ব্যবসায়ের নিবন্ধকরণের আরও অনেক উপায় রয়েছে। আমি কীভাবে বাংলাদেশে কোনও ব্যবসা বা সংস্থা নিবন্ধন করতে পারি সে সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে আপনার জন্য কিছু নিবন্ধ লিখেছি। আপনি কর্পোরেট বিষয়ক বিভাগের পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে একটি ব্যবসা নিবন্ধন করতে পারেন। আপনার সরাসরি শিপিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধকরণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, তবে বাংলাদেশ এখনও নিবন্ধকরণ কার্যকর করেনি।
২. একটি চলতি অ্যাকাউন্ট খুলুন :
আপনি এখানে অর্থ উপার্জন করতে এসেছেন। সুতরাং, পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকের সাথে একটি চলতি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ তাদের বিশ্বব্যাপী শাখা এবং ব্যাংকগুলির বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। সরবরাহকারীদের কাছে রেমিট্যান্স সরবরাহ করতে পারবেন। এছাড়াও, বিদেশী লেনদেনে একটি খরচ আছে সে দিকে খেয়াল রাখুন। কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য বাড়তি ফি চার্জ করে, প্রতি লেনদেনের জন্য ৮০ থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।
মনে রাখবেন, এই ব্যয়গুলি আপনার লাভ থেকে বের করে আনতে হবে।
৩. একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট খুলুন :
আপনি যদি বাংলাদেশে ড্রপ শিপিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনাকে একটি পেপাল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
প্রায়ই, বিদেশী সরবরাহকারীরা আপনার আদেশ কৃত পণ্যগুলির জন্য অর্থ দ্রুত গ্রহণ করতে চায়।
এবং কিছু কিছু বিদেশী সরবরাহকারী কেবল পেপালের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের জন্য অনুরোধ করবে। পেপাল একটি দ্রুত গ্লোবাল পেমেন্ট গেটওয়ে। সুতরাং, এটি বিশ্বব্যাপী ড্রপশিপিং ব্যবসায়ে খুব জনপ্রিয়। পেপাল অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার জিএসটিআইএন নম্বর এবং অন্যদের মধ্যে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের বিশদ প্রয়োজন। পেপাল আপনার আবেদন গ্রহণ করার আগে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করবে। অবশ্যই, পেপাল আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিতে আপনার অনুমতি চাইবে এবং আপনার ব্যাংক অন্য কাউকে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার অনুমতি দেয় না।
So, আমরা আজকের ব্লগে অনেক কিছু যেনে ফেললাম- এই ভাবে আরও Informative ব্লগ, টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে চাইলে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। যদি আজকের ব্লগ টি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করতে ভূলবেন না।
This Blog Edited By Sourov Dey
-ধন্যবাদ সবাইকে
by Sourov Dey | Jun 12, 2022 | Programming
বর্তমান বেশিরবাগ ছাত্র-ছাত্রীরার এর প্রথম চয়েস কম্পিউটার রিলেটেড স্টাডি করার জন্য। কম্পিউটার সাইন্স স্টাডি করা মানে ভালো একটা প্রোগ্রামার অথবা ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে পরিচয় করার জন্য ।
এখন বলি কিভাবে একজন ভালো প্রোগ্রামার হবেন।
মানুষের সহজাত প্রকৃতিই হচ্ছে ‘অল্প সময়ে, কম কষ্টে, ঘরে বসে’ হাওয়া বাতাস খেতে খেতে সাফল্যের শীর্ষে চলে যাওয়ার ইচ্ছা। যে কোন বিষয়ের মত প্রোগ্রামিং এ ভাল করার জন্যেও প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক অনুশীলন। প্রোগ্রামিং এ এক্সপার্ট হবার ব্যাপারে পিটার নরভিগ (Peter Norvig) Teach Yourself Programming in Ten Years নামের একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন। আসলেই একজন এক্সপার্ট প্রোগ্রামার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে একটা দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে।
তাহলে আপনি বলতে পারেন প্রোগ্রামার হতে হলে কোনটা সব থাকে ভালো জানতে হবে। তাই , জানতে হলে পরতে থাকুন পুরো আর্টিকলটি
প্রবলেম সলভিং এর ক্ষমতা
এই কাজটা করা বেশ কঠিন। প্রবলেম সলভিং এর স্কিল বাড়ানো বলতে আসলে ‘তোমার বুদ্ধিমত্তাকে আরো বাড়াও’ এমনটাই বুঝায়।
আর এটা করার উপায় হচ্ছে নিয়মিত কঠিন কঠিন প্রবলেম সলভ করা। আবার এমন কঠিন না যেন হতাশা এসে ভর করে। তোমার ক্ষমতার চেয়ে একটু কঠিন প্রবলেম নিয়ে পড়ে থাকলে তোমার ব্রেইনকে কাজে লাগাতে পারবে। সব সময় সহজ প্রবলেম সলভ করলে দেখবা তুমি ভুল-টুল করতেছ না, কিন্তু তোমার ব্রেইন ঐসব সহজ প্রবলেমের জন্যেই ম্যাচ হয়ে থাকবে। ব্রেইনকে কাজ না দিয়ে অলস বসিয়ে রাখলে (সব সময় সহজ প্রবলেম সলভ করলে) বুদ্ধিমত্তা বাড়ানো কথা চিন্তা করা যায় না।
এজন্য অনলাইন জাজগুলোতে নিয়মিত প্রবলেমের লেভেল দেখে দেখে সলভ করা সবচেয়ে ভাল। পুরো প্রবলেমটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে একটা একটা পার্ট করে সলভ কর। এক্ষেত্রে ছোট দরজাওয়ালা একটা বাড়ির বিরাট বড় টেবিলের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। বিরাট বড় গরজিয়াস একটা টেবিল কিনে নিয়ে আসলা তোমার বাড়ির দোতলার ড্রয়িং রুমে রাখবা বলে। দেখা গেল টেবিলের তুলনায় দরজাটা অনেক ছোট। সেক্ষেত্রে একটাই মাত্র কাজ করার থাকে তা হচ্ছে সাবধানে টেবিলটাকে কেটে টুকরাগুলোকে জায়গা মত নিয়ে আবার জোড়া দেয়া। প্রবলেমগুলোকেও এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সলভ করে এরপর জোড়া দেয়ার কাজ করতে হবে।
খাতায় কোড কর আর ডিবাগ কর
যদিও এখনকার সময়ে মনে হয় না কেউ খাতায় কোড করে। এরপরেও যদি খাতায় কোড লিখে প্র্যাক্টিস করতে পার এটা তোমার জন্য বেশ ভাল কাজে দিবে। কারণ তুমি যখন IDE তে কোড করতে বসো, মাথায় এটা থাকেই যে ভুল হলে আবার সাথে সাথেই ঠিক করতে পারবো। কিন্তু কাগজে যখন লিখবা তখন লিখার আগে তোমার ব্রেইন অনেক দ্রুত কাজ করবে যথাসম্ভব নির্ভুল কোড লিখার জন্য। কারণ কাগজে কোড লিখা কঠিন।
আর অনসাইট টিম কনটেস্টের ক্ষেত্রে এই গুণের কারণে আরো সুবিধা পেতে পারো। কারণ সেখানে ৩ জনের জন্য একটাই পিসি থাকে। তাই অন্য টিমমেট পিসিতে কোড করতে থাকলে তোমাকে হয়ত খাতাতেই কোড লিখে রাখতে হতে পারে। কোড লিখে বিভিন্ন ইনপুটের জন্য কাগজেই ডিবাগ করার অভ্যাস গড়ে তুলো।
নিয়মিত কনটেস্টে অংশগ্রহণ
তুমি হয়ত বাসায় বসে ধীরেসুস্থ্যে বেশ ভাল প্রবলেম সলভ বা কোড করতে পার। কিন্তু কনটেস্টের সময়ে? বাসায় সলভ করার সময় কিন্তু নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাবার চিন্তা থাকে না। সেই প্রেশারটা থাকে না যেটা কনটেস্ট টাইমে থাকে। তাই স্ট্রেসের মধ্যে থেকে, প্রেশারের মধ্যে থেকে কিভাবে কার্য সমাধা করতে হয় সেটায় অভ্যস্ত হবার জন্যেও যত বেশি সম্ভব কনটেস্টে অংশ নেয়া উচিত।
আর বেশি বেশি কনটেস্ট করলেই সে সময়ে করণীয় বা কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে ব্যাপারে আইডিয়া হয়ে যাবে। যেমন ৫ ঘন্টার কনটেস্টের শেষ ঘন্টায় এসে একটা নতুন প্রবলেম শুরু করা সম্ভবত ভাল সিদ্ধান্ত না। যখন তোমার সাবমিট করা unsolved ২-৩ টা প্রবলেম রয়েছে। নতুন প্রবলেম শুরু করব কি করব না, কোন একটার পিছনে আর সময় দেয়া উচিত হবে কি হবে না? এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া সহজ হয় বেশি বেশি কনটেস্টে অংশ নিলে।
মোটিভেশন (প্রেরণা)
প্রোগ্রামিং কনটেস্ট তোমার প্রোগ্রামিং এর স্কিলকে ব্যাপক ভাবে বাড়িয়ে দিবে। তুমি চিন্তা করতে পারবা না যে একেকটা কনটেস্টের পর তোমার স্কিলটা কতখানি পুশ হয়! হ্যাঁ তোমাকে অনেকেই বলবে যে রিয়েল লাইফে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য এসব প্রবলেম সলভিং এর দরকার হয় না। আসলেই তাই! তুমি খুব বেশি ভাগ্যবান হলে হয়ত তোমার কোম্পানীর কোন প্রোজেক্টে ৫-১০% কাজে তোমার শেখা ডেটা স্ট্রাকচার-অ্যালগরিদম ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবা। বা তোমার কনটেস্টের স্কিল কাজে লাগাতে পারবা। কারণ কন্টেস্ট এরিয়াটা রিয়েল ওয়ার্ল্ডের চেয়ে ভিন্ন। কিন্তু কনটেস্ট করলে তোমার দক্ষতা যতটা বাড়বে তা অন্যান্য উপায়ে অর্জন করা কঠিন। একটা জিনিস চিন্তা করো, ছোট বেলায় আমাদেরকে গণিত শেখানো হয়। তার মানে কি আমাদের সবাইকে গণিতবিদ হতে হবে? আমাদেরকে কবিতা পড়ানো হয়, রচনা লিখা শেখানো হয়। তাই বলে আমরা সবাই কি লেখক হব? গণিত শেখানো হয় যেন ব্যক্তি জীবনে হিসাব নিকাশ করতে পারি না কোন একটা বিষয়ে ভাল অ্যানালাইসিস করতে পারি। লেখালেখি শেখানোর কারণ হচ্ছে যেন তুমি যে কোন বিষয়ে তোমার মনের ভাব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে পারো। প্রোগ্রামিং কনটেস্টটাও ঠিক তেমন। তোমার ভবিষ্যতের ভীতটা গড়তে সাহায্য করবে।
কনটেস্ট তুমি তখনই করতে পারবা যখন এটাকে একটা খেলা হিসেবে নিবা। ছোট বেলায় বিকালে ক্রিকেট খেলতে বের হয়ে খেলার সময় বা খেলার পর যেই আনন্দ পেয়েছিলে, সেটা যদি এখানেও পাও তাহলে কনটেস্ট তোমার জন্যেই! কিন্তু তা না হয়ে যদি চিন্তা কর “অমুক ভাই কনটেস্ট করে এখন অমুক জায়গায় বড় জব করে। আমিও কনটেস্ট করবো” তাহলে মনে হয় না খুব বেশি দূর আগানো সম্ভব। কনটেস্ট ছাড়াও অনেক ভাল প্রোগ্রামার আছেন। অনেক বড় বড় প্রোগ্রামার আছেন যারা কনটেস্ট এর ব্যাপারে আগ্রহী না। যদি তোমার আগ্রহ না থাকে তাহলে জোর করার দরকার নাই।
This Blog Edited By Sourov Dey
ধন্যবাদ সবাইকে,
Mohammad Jubair
by Sourov Dey | Jun 10, 2022 | Digital Marketing
CPA Marketing কি ?
CPA মানে হলো “cost per action” বা “cost for action”. সোজা ভাষায় বলতে গেলে,একটি ধরে দেওয়া কাজ সম্পূর্ণ সঠিক ভাবে করাতে পারলে আপনাকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে।
এখনের সময়ে, যেকোনো Business, Product বা Services এর মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে “ডিজিটাল মার্কেটিং” এর ব্যবহার অধিক বেশি পরিমানে করা হয়।
Digital marketing বা Internet marketing, যেখানে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাধন গুলো ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার করা হয়।
–সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
CPA মার্কেটিং কে Affiliate মার্কেটিং এর ভাগ হিসেবে ধরা হয়।
কারণ, Affiliate Marketing এর ক্ষেত্রে আমরা যেকোনো একটি “কোম্পানির উৎপাদ বা সেবা” গুলো “প্রচার” করে সেগুলোর বিক্রির থেকে কিছু কমিশন (Commission) আয় করি।
তবে, সিপিএস মার্কেটিং হলো এক নতুন ও আধুনিক রকমের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকার, যেখানে কোম্পানির উৎপাদ ও সার্ভিস গুলো বিক্রি না হলেও আপনি কমিশন আয় করতে পারবেন।
তাহলে চলুন, CPA marketing কি (what is CPA marketing in bangla) এবং এই বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই।
এটাকে একটি অনলাইন মার্কেটিং এর কৌশল হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেখানে কোম্পানি গুলো নিজের Business, Service বা Product গুলোর প্রচারের ক্ষেত্রে, “Publishers” এবং “Advertisers” দের সাহায্য নেয়।
এবং প্রচার বলতে, কোম্পানি গুলো কিছু কাজ ধরে দিবেন যেমন, Software download, Form fill up, E-mail submission, Form Registration, Survey ইত্যাদি।
আর, একজন Publisher হিসেবে, এই ধরণের কাজ গুলো আপনার করাতে হবে নিজের Blog বা Website এর মাধ্যমে।
এবং, সফলতাপূর্বক কাজ গুলো করাতে পারলে, কোম্পানির তরফ থেকে আপনি প্রত্যেক কাজের বিনিময়ে কমিশন পাবেন।
সিপিএ মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াতে কেবল এটাই পার্থক্য যে, এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো আপনার কিছু বিক্রি করাতে হবেনা।
সিপিএ এর পূর্ণরূপ “Cost Per Acquisition” বলেও বলা হয়।
এখানে মূল উদ্দেশ্য হলো, “লিড তৈরি করা“।
-CPA মার্কেটিং এর লাভ
যদি আপনার একটি Website, Blog, Application বা ভালো সংখ্যাই E-mail list রয়েছে, তাহলে ইন্টারনেটে থাকা অন্যান্য মাধ্যম গুলোর তুলনায় CPA মার্কেটিং থেকে অধিক সহজে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া, সিপিএ মার্কেটিং এর আরো অন্যান্য কিছু লাভ রয়েছে,
- এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াতে কোনো ধরণের বিক্রি (sell) না করিয়েই ইনকাম সম্ভব।
- Form fill-up, Survey, App install ইত্যাদি কাজ গুলো করিয়ে ইনকাম করুন।
- CPA marketing এর ক্ষেত্রে, অনেক সহজেই Conversion হওয়ার সুযোগ থাকছে।
- এখানে আপনার তেমন কোনো কৌশল এর প্রয়োজন নেই।
- কেবল, offer গুলো দেখুন এবং নিজের Website, Blog বা Application ট্রাফিক এর মাধ্যমে করিয়ে নিন
CPA কিভাবে কাজ করে ?
সিপিএ কিভাবে কাজ করে, এই প্রশ্নের উত্তর অনেক সোজা।
দেখুন, ইন্টারনেটে কিছু Advertisement company রয়েছে, যেগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি গুলো তাদের business, products বা service গুলোর সাথে জড়িত প্রচার বা অন্যান্য কাজ করানোর ক্ষেত্রে সংযুক্ত হয়।
এই ক্ষেত্রে, উৎপাদন কোম্পানি গুলো এই Advertisement company গুলোকে কিছু টাকা অবশই দেন।
এবং, এই ধরণের Advertisement company গুলোকে বলা হয় “Affiliate network”, “CPA Network” ইত্যাদি।
এখন, যদি আপনার কাছে একটি Website, Blog, Application বা ভালো email list রয়েছে, তাহলে এই CPA network গুলোতে আপনি রেজিস্টার করে একজন Publisher হিসেবে Account তৈরি করতে পারবেন।
আর তারপর, CPA network গুলোতে থাকা বিভিন্ন কাজ গুলো আপনি নিজে নিজের Blog বা ওয়েবসাইটে আসা Traffic ও Visitors দের দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন।
সফলতাপূর্বক ভাবে ধরেদেওয়া কাজ গুলো করিয়ে নিতে পারলে, সেই CPA Network গুলোর থেকে আপনাকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়।
আর, এভাবেই কাজ করে সিপিএ মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া।
-সিপিএ মার্কেটিং কাজের কিছু উদাহরণ
এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন, সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কি কি কাজ আপনার করাতে লাগতে পারে।
তাই তো ?
চলুন, CPA marketing এর কিছু কাজের উদাহরণ নিচে জেনেনেই।
- কোম্পানির E-mail Newsletter Subscribe করা।
- Form fill-up এর ক্ষেত্রে নিজের তথ্য প্রদান করা।
- সার্ভে সম্পূর্ণ করার কাজ।
- একটি Software, App, game বা Extension ডাউনলোড করানো।
- Live chatting ওয়েবসাইটে রেজিস্টার বা Signup করানো।
– CPA affiliate marketing থেকে টাকা আয় করুন
এমনিতে বর্তমানে, জাজার হাজার ব্লগার বা ইউটিউবাররা এই সিপিএ মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করছেন।
কারণ যা আমি আগেই বলেছি, এখানে আপনার কিছু বিক্রি করানোর প্রয়োজন হয়না।
আর তাই, লোকেরা সহজেই আপনার প্রচার করা বিজ্ঞাপন গুলোতে আগ্রহী হয়ে কাজ গুলো করে নেয়।
CPA marketing এর মাধ্যমে আপনারা $0.10 থেকে $10 প্রত্যেকটি লিড কনভার্সন এর ফলে আয় করতে পারবেন।
এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রেতো প্রত্যেক কনভার্সন এর ক্ষত্রে $50 থেকেও অধিক আয় করা সম্ভব।
আজকে আমরা কি শিখলাম ?
আজকে আমরা শিখলাম, “CPA marketing কি” (about CPA marketing in bangla), এবং কিভাবে কাজ করে সিপিএ মার্কেটিং।
বন্ধুরা, যদি আপনাদের একটি ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে ভালো প্রমানের ট্রাফিক ও ইউসার আসছে, তাহলে এই সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো পরিমানের টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স এর সেরা বিকল্প হিসেবে এই মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন।
কিছু সেরা, CPA networks গুলোর নাম হলো, “cpalead.com“, “cpagrop.com“, “peerfly.com“ এবং আরো রয়েছে।
এই সিপিএ নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করে, আপনারা ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া, সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা সমস্যা রয়েছে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানিয়ে দিবেন।
This Blog Edited By Sourov Dey
by admin | Jun 6, 2022 | life hack tips
আজকে একটু ভিন্ন টপিকে আলোচনা হবে।
যে ১০টি কম্পিউটার স্কিল অর্জন না করলেই নয়!
ছাত্রজীবনকে বলা যায় জীবন গঠনের উপযুক্ত সময়। কেননা এই সময়টাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি এমনকিছু গুণ ও দক্ষতা অর্জন করে থাকে, যা সারাজীবন তাদের কাজে লাগবে। বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ৷ কম্পিউটার ছাড়া আজকাল সবকিছু একেবারেই অচল বলা চলে৷
কী করা যায় না কম্পিউটার দিয়ে? অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, স্কুলের সায়েন্স প্রোজেক্ট বানানো, বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যানার তৈরি, কলেজের প্রেজেন্টেশনসহ অনেক কিছুই কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা সম্ভব। আর কম্পিউটার এর কিছু নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন করতে পারলে তুমি তোমার সহপাঠীদের তুলনায় এগিয়ে থাকবে কয়েকশো গুণ!
কিন্তু এইসব স্কিল শিখতে চাইলে সাথে থাকা লাগবে ইন্টারনেট সংযোগ। ইন্টারনেট সংযোগ তোমাকে পুরো পৃথিবীর নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে। এতে করে তোমার কাজ হয়ে উঠবে আরো সহজ ও মজাদার! পরীক্ষার আগে পড়া যেমন জরুরি, তেমনি চাকরিতে ঢোকার আগে কিছু কম্পিউটার স্কিল থাকাও প্রয়োজন।
নিচে এমন কিছু স্কিল শেয়ার করা হলো যা আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে দিবে-
- বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং দক্ষতা:
মোবাইলে আমরা সবাই আরাম-সে টাইপ করতে পারলেও কম্পিউটার এর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে টাইপ করা কিন্তু একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। টাইপ করার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৪০টি শব্দ এবং বাংলা ২৫টি শব্দ টাইপ করতে পারতেই হবে।
আমাদের প্রায়শই বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের জন্য একজন টাইপিস্টের কাছে শরণাপন্ন হই। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি ভালোভাবে টাইপ করতে পারি, তাহলে বাইরের কাউকে দিয়ে টাইপ করানোর প্রয়োজন হবে না। এতে করে নিজের অর্থ এবং সময়- দুটোই বাঁচবে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে ডক ফাইল তৈরি করা হলো আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার স্কিল। Microsoft Word ও Google Docs এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং বিনামূল্যে ফাইল তৈরি করা যায়। Microsoft Word হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ডকুমেন্ট তৈরির সফটওয়্যার। ৯০% মানুষ নিজেদের কাজে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে।
গাণিতিক সমস্যাবলী এবং ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা:
যখন কেউ গাণিতিক সমস্যা কিংবা কোনো হিসাব-নিকাশের কথা বলে, তখন মাথায় আসে Microsoft Excel বা Google Sheets এর নাম। Microsoft Excel বা Google Sheets মূলত হলো একধরণের spreadsheet। সেখানে বিভিন্ন ধরণের টেবিলের মাধ্যমে কোনোকিছুর পরিসংখ্যান দেখানো হয়। যেমন: শেয়ার বাজারের সূচক, অফিসের কর্মীদের কাজে আসার সময়সূচী, শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ইত্যাদি।
Presentation এর দক্ষতা: প্রোজেক্ট ডিসপ্লে এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে সেই দুইটি সফটওয়্যার আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে, তা হলো Google Slides এবং Microsoft PowerPoint। এই দুইটি সফটওয়্যার প্রায় একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলেও এদের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।
Graphic Designing:
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছর জুড়েই কোনো না কোনো ইভেন্টের আয়োজন করা হয়৷ ইভেন্টের প্রচারণার জন্য প্রয়োজন ম্যাগাজিন, ব্যানার ও পোস্টার৷ আর তুমি যদি কম্পিউটারে Adobe Photoshop আর Adobe Illustrator ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে থাকো, তাহলে তোমাকে আর ঠেকায় কে? এসব কাজের জন্য সবার আগে কিন্তু তোমাকেই ডাকা হবে!
বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়্যার:
কম্পিউটার বা ফোনের কোনো পার্টস নষ্ট হয়ে গেলে, সেটা ঠিক করার অন্তত বেসিক উপায়টা শেখা জরুরি। আমাদের জানা উচিত যে কীভাবে সফটওয়্যার কিনতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও পিসি কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হয় এবং ভাইরাসমুক্ত রাখা যায় সেটাও জানতে হবে। হার্ডডিস্ক, বেসিক ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কেও ধারণা রাখা প্রয়োজন।
Social Networking:
সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো হলো নেটওয়ার্কিংয়ের সবচেয়ে কার্যকরী জায়গা। কারণ এইসব সাইটগুলোতে আমরা নানান ধরণের ও পেশার মানুষের সাথে পরিচিত হই। এইসব মানুষেরা আমাদের পরবর্তীতে নানান উপকারে আসতে পারেন।
তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং স্কিলসের মধ্যে তুমি কীভাবে কার সাথে কথা বলবে, নেগেটিভিটি কীভাবে এড়িয়ে চলবে- এগুলোও অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইন নৈতিকতা এবং নিরাপত্তা: অনলাইনে কাজ করতে গেলে যেই জিনিসটা নিয়ে সবাই একদম প্রথম সতর্ক করে, তা হলো অনলাইনে আমাদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া দরকার৷ অনেক সময় আমরা আমাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়ায় করে ফেলি, কাউকে নিয়ে কটুক্তি করি৷ কিন্তু এগুলো করা একদমই উচিত নয়৷ ভার্চুয়াল জগতে সব অনেক বেশি খোলামেলা। তাই অনলাইনে কাজ করার সময় আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো।
অনলাইনে কাজ করা:
আজকাল এমন অনেক ধরণের কাজ তৈরি হচ্ছে, যা ঘরে বসেই করা যায়। যেমন: freelancing, online business, blogging, marketing, copywriting, ইত্যাদি। সেইসব কাজ করার জন্য প্রয়োজন নিজের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। তাই অনলাইনে কাজ করতে হলে কিন্তু কম্পিউটার স্কিল গুলো আয়ত্ত করার প্রয়োজন আছে!
এইতো, একজন ছাত্র বয়সে এই স্কিল গুলো থাকা অত্যাবশক।
ধন্যবাদ সবাইকে-
মোহাম্মদ জোবাইর