– জাভাস্ক্রিপ্ট এর ইতিহাস –

– জাভাস্ক্রিপ্ট এর ইতিহাস –

আসসালামু-আলাইকুম সবাইকে আজকে শেয়ার করব জাভাস্ক্রিপ্ট এর ইতিহাস এবং কি কেন কিভাবে.? বিষয়টি হলো জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে কি করা যায়? জাভাস্ক্রিপ্ট কে ওয়েব এর মাতৃভাষা বলা হয়। ওয়েব নির্ভর সময়ের এই প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে দারুণ সব কাজ করা যায়। তাই আমরা আজকে জানব জাভাস্ক্রিপ্ট কি এবং তার ইতিহাস।

-𝑊ℎ𝑎𝑡 𝑖𝑠 𝐽𝑎𝑣𝑎𝑆𝑐𝑟𝑖𝑝𝑡.?

যদি খুব সহজে বলি তাহলে জাভাস্ক্রিপ্ট ইন্টারনেটে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ। জাভাস্ক্রিপ্ট হল একটি ক্লায়েন্ট সাইড স্ক্রিপ্টিং বা ব্রাউজার স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ। সেই সাথে জাভাস্ক্রিপ্ট একটি ওবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। এতে আছে ডেটা টাইপ, অপারেটর, গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবজেক্ট আর ফাংশন বা মেথড। ওয়েব জগতে কাজ করে গলে আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতেই হবে।

যদি প্রশ্ন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট কি কাজে লাগে?

-তাহলে আমি বলবো JavaScript is Everywhere!!!

-𝐻𝑖𝑠𝑡𝑜𝑟𝑦 𝑂𝑓 𝐽𝑎𝑣𝑎𝑆𝑐𝑟𝑖𝑝𝑡.?

Brendon Erich নামক এক যুকব সান্টা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস এট আর্বানা শ্যাম্পেইন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেনে। তারপর তার কর্মজীবন শুরু করেন সিলিকন গ্রাফিক্সের মাধ্যমে। পরবতীর্তে তিনি ৭ বছর অপারেটিং সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক কোড নিয়ে কাজ করেন। সেই সাথে মাইক্রোইউনিটিতে তিনি ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং ও মাইক্রো কার্নেল নিয়ে কাজ করেন। এরপর ১৯৯৫ সালে Brenden Netscape কমিউনিকেশন কর্পোরেশনে তার কর্মজীবন শুরু করেন। নেটস্কেপ তখন প্রথম ব্রাউজার বাজারে এনে হইচই ফেলে দিয়েছিল। মাইক্রোসফটের সাথে ব্রাউজার যুদ্ধটা তখনো শুরু হয়নি। কথা ছিল ব্রেন্ডান নেটস্কেপ ন্যাভিগেটরের জন্য স্কিম নামক প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে কাজ করবেন।

কিন্তু পরবর্তীতে নেটস্কোপ ব্রেন্ডানকে সম্পূর্ণ একটি নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর বেশ কিছুদিন কাজ করে জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি করা হয়। যা নেটস্কেপ ন্যাভিগেটর ২.০ বেটা নামক ওয়েব ব্রাউজারে সংযোজন করা হয়। তবে প্রথম তৈরি করা জাভাস্ক্রিপ্টের নাম রাখা হয়েছিলো মোচা। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোচার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় লাইভস্ক্রিপ্ট। লাইভস্ক্রিপ্টের মাত্র কয়েকদিন পরই নাম বদল করে রাখা হয় জাভাস্ক্রিপ্ট।

জাভাস্ক্রিপ্ট নাম রাখার কারণটা বানিজ্যিক। সেই সময় জাভা প্রোগ্রামিং ভাষায় অনেক জনপ্রিয়তা পায়। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই জাভাস্ক্রিপ্ট নামকরন করা হয়। যারা প্রোগ্রামিং ভাষায় সাথে পরিচয় নেই। শুরুতে শুনলে মনে করেন জাভাস্ক্রিপ্ট ও জাভা একই জিনিস। কিন্তু দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা।

জাভাস্ক্রিপ্ট নাম রাখার কারণটা । সেই সময় জাভা প্রোগ্রামিং ভাষায় অনেক জনপ্রিয়তা পায়। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতেই জাভাস্ক্রিপ্ট নামকরন করা হয়। যারা প্রোগ্রামিং ভাষায় সাথে পরিচয় নেই। শুরুতে শুনলে মনে করেন জাভাস্ক্রিপ্ট ও জাভা একই জিনিস। কিন্তু দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা।

কিছুদিন পরেই মাইক্রোসফট এই প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে প্রায় মিলে যায় এরকম একটি ল্যাংগুয়েজ JScript নাম দিয়ে প্রায় ৩ মাস পর ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সাথে বাজারে নিয়ে আসে। এদিকে নেটস্কেপ 𝙴𝙲𝙼𝙰 𝙸𝚗𝚝𝚎𝚛𝚗𝚊𝚝𝚒𝚘𝚗𝚊𝚕 (স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে এরকম একটি ইউরোপীয়ান সংস্থা) এর কাছে ল্যাংগুয়েজটি উপস্থাপন করে। যার ফলাফল ১৯৯৭ সালে ECMAScript এর প্রথম সংস্করণ হিসেবে বাজারে আসে।

১৯৯৯ সালে এই স্ট্যান্ডার্ডটি আরো উন্নত হয় ECMAScript সংস্করণ ৩ হিসেবে – আর সেই থেকে ভাষাটির তেমন কোন বড় পরিবর্তন হয়নি। চতুর্থ সংস্করণটি ভেস্তে যায়, ভাষাটির জটিলতা নিয়ে মতবিরোধের ফলাফল হিসেবে।

তবে এই চতুর্থ সংস্করণের অনেক অংশবিশেষ কে ভিত্তি হিসেবে ধরে ২০০৯ সালে নতুন ECMAScript এর পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। এরপর পিছনে তাকাতে হয়নি জাভাস্ক্রিপ্টকে। ২০১৫ সালে যষ্ঠ সংস্করণ উম্মোচন হয়। তারপর প্রায় প্রতি বছরই নানা আপডেট আসে এই ভাষাটিতে।

২০২১ সালের জুলাই মাসে ECMAScript 2022 সংস্করণ উন্মোচন হয়। তবে স্ট‍্যাবল সংস্করণ হয়েছে রয়েছে ECMAScript 2021

জাভাস্ক্রিপ্টের অসংখ্য লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে যেগুলো ওয়েবপেইজ নির্মাণ, অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণসহ আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে কতগুলো লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক বেশ জনপ্রিয় আঙ্গুলার জেএস, রিঅ্যাক্ট জেএস,রিঅ্যাক্ট নেটিভ, ভিউ জেএস এবং নোড জেএস ইত্যাদি।

-Stack Overflow এর জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর মধ্যে জাভাস্ক্রিপ্ট অন্যতম! কারন এটা ওয়েব এর প্রান এবং একটি শক্তিশালী ল্যাঙ্গুয়েজ।

দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যবহার সব জায়গায়। বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো তে ৬০% থেকে ৭০% কোড ই থাকে জাভাস্ক্রিপ্ট এর। আপনি যদি ব্রাউজার এর জাভাস্ক্রিপ্ট Disable করে ওয়েব ব্রাউজ করতে জান, দেখবেন বেশিরভাগ সাইট ঠিক মত কাজ করছে না।

-এখনই চেষ্টা করে দেখুন, জাভাস্ক্রিপ্ট Disabled করে ফেইসবুকে ঢোকার চেষ্টা করুন, দেখবেন ফেইসবুক বলবে “JavaScript Required” অর্থাৎ জাভাস্ক্রিপ্ট ছাড়া আপনি ফেইসবুক ব্যাবহার করতে পারবেন না।

এছাড়া আপনি যদি জাভাস্ক্রিপ্ট এর উপর বস হতে পারেন তাহলে আপনি ওয়েব এন্ড অ্যাপ দুই সেক্টরে রাজত্ব করতে পারবেন।

যেমন : ওয়েব এর জন্য রয়েছে React JS, Node JS, Express JS এগুলো দিয়ে একটা ওয়েবসাইটের Front End & Backend দুইটাই একসাথে ডেভেলপ করা সম্ভব। এছাড়া আপনি যদি অ্যাপ সেক্টরে আসতে চান জাভাস্ক্রিপ্ট এর হাত ধরে সেহেতু React Native আপনার জন্য এক্সট্রা একটা প্লাস পয়েন্ট। কারণ বর্তমানে দিন দিন React Native এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন : আমরা যে বর্তমান ফেইসবুক চালাই এটাই React Native দিয়ে বানানো এর বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির Official অ্যাপস গুলো React Native Based… So, আপনি জাভাস্ক্রিপ্ট এর উপর বস হতে পারলে এই যুগে আপনার চাহিদা বা Demand সবার উপরে থাকবে।

যদি আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে জাভাস্ক্রিপ্ট কে বেছে নেন তাহলে আপনার কোনদিন কাজের অভাব হবে না।

জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপারদের এভারেজ বেতন 95,981 ডলার , যা বাংলা টাকায় অনেক বেশি!

এছাড়া ও আপনি যদি কোন ফার্ম এ জব না করতে চান, আপনার জন্য রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো তে জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপারদের চাহিদা সব থেকে বেশি।

মার্কেটপ্লেস গুলো তে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনি পাবেন স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুবিধা।

মার্কেট থেকে ক্লাইন্ট এর মাধ্যমে কাজ নিবেন এবং কাজ শেষে জমা দিয়ে আপনি আপনার কাজের পারিশ্রমিক পাবেন। খুবই সিম্পল।

𝙷𝚘𝚠 𝚃𝚘 𝚆𝚎 𝚕𝚎𝚊𝚛𝚗 𝙹𝚂.?

যদি সত্যিই আপনি মন থেকে জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে চান তাহলে আপনাকে কেও আটকাতে পারবে না! অনলাইন এ হাজার হাজার রিসোর্স পাবেন জাভাস্ক্রিপ্ট শেখার জন্য। এছাড়া ইউটিউব গুগল তো আছেই।

This Blog Edited By Sourov Dey

-ধন্যবাদ সবাইকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনাকে বোঝায়। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা এখন ঘরে বসে বিশ্বের সব খবরা খবর রাখতে পারছি, দুর দূরান্তের মানুষের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একে অন্যকে দেখতে পারছি।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে উঠেছে তাকেই মূলত আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলি আমরা।

আরো সহজ ভাবে বলি, আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করছি। এই সাইটগুলতে আমার আপনার মত আরো লক্ষ্য লক্ষ্য লোক ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু এখানে অনেক অডিয়েন্স আছে সেহেতু এখানে যদি আমরা আমাদের পণ্যের প্রচারণা করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আমরা কাস্টমার পেতে পারি।

সোজা ভাষায় বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে

আমরা নিজের কোম্পানির মার্কেটিং করতে পারব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?

 ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনাকে বোঝায়। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা এখন ঘরে বসে বিশ্বের সব খবরা খবর রাখতে পারছি, দুর দূরান্তের মানুষের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একে অন্যকে দেখতে পারছি।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে উঠেছে তাকেই মূলত আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলি।

আরো সহজ ভাবে বলি, আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করছি। এই সাইটগুলতে আমার আপনার মত আরো লক্ষ্য লক্ষ্য লোক ব্যবহার করে থাকে।

এখানে ওই কোম্পানির কিন্তু কোন লাভ হচ্ছেনা, বিজ্ঞাপন দিতে যেই টাকা খরচ হচ্ছে, তা সবই জলে যাচ্ছে।

 ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনাকে বোঝায়। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা এখন ঘরে বসে বিশ্বের সব খবরা খবর রাখতে পারছি, দুর দূরান্তের মানুষের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একে অন্যকে দেখতে পারছি।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে উঠেছে তাকেই মূলত আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলি।

আরো সহজ ভাবে বলি, আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করছি। এই সাইটগুলতে আমার আপনার মত আরো লক্ষ্য লক্ষ্য লোক ব্যবহার করে থাকে।

এখানে ওই কোম্পানির কিন্তু কোন লাভ হচ্ছেনা, বিজ্ঞাপন দিতে যেই টাকা খরচ হচ্ছে, তা সবই জলে যাচ্ছে।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন?

আপনার পণ্যটি কোন ক্যাটাগরির কাস্টমারের কাছে চাহিদা সম্পূর্ণ তা বিবেচনা করে সে অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও আকর্ষণীয় কনটেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। পণ্যের ধরণ ও চাহিদানুযায়ী আপনাকে কনটেন্ট সাজাতে হবে। এবং এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে সেলস ফানেল তৈরি করা।

আমার দেখা মতে বাংলাদেশ এর ৯৫% কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য সেলস ফানেল তৈরি করেন না এবং যার কারণে তাদের সেলস তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয়।

সেলস ফানেল এর মাধ্যমে সেলকে ২-৩ গুন বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব।

আপনার সেলস ফানেল তৈরি করার পর চিন্তা করতে হবে কোন ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে মার্কেটিং শুরু করবেন এবং সেই ডিজিটাল মাধ্যমটি সম্পর্কে আপনাকে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

লোকাল বিজনেস ক্যম্পেইন বা টিপিক্যাল টাইপ মার্কেটিং এ যেমন অনেকভাবে আমরা বিজ্ঞাপন করতে পারি, ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক প্রকারের হয়ে থাকে, তবে এই সাতটি মাধ্যম অনেক জনপ্রিয়। এই আর্টিকেলে আমি এই ৭ প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো আমরা এখন শুরু করি কিভাবে কি করতে হবে?

  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • এসএমএস মার্কেটিং
  • ওয়েব এনালাইটিক্স

কনটেন্ট মার্কেটিংঃ

ইংলিশ এ বলা হয় “কন্টেন্ট ইজ কিং”। হ্যাঁ, কথাটা আসলেই সত্য। কনটেন্ট হলো কোন একটি পণ্য, বিষয় বা বস্ত কে কেন্দ্র করে ব্লগ পোষ্ট, ছবি বা ভিডিও এর মাধ্যমে তার আকর্ষণীয় বর্ণনা করে তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করা। বিভিন্ন পণ্যের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনকেও কনটেন্ট মার্কেটিং বলা যায়। আশা করি সবাই বোঝতে পারছেন।

ব্লগিং এর মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, অনলাইনে ছবি বা পোস্টারিং অথবা ভিডিও মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হচ্ছে একটা অরগানিক ট্রাফিক জেনারেশন ম্যাথড। গুগলে প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন তথ্য খুঁজে থাকি, কোন কিছু লিখে যখন সার্চ করা হয় সেটাকে বলা হয় কিওয়ার্ড, আর এই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে অনেক অনেক রেজাল্ট দেখতে পাই। কিন্তু অনেক রেজাল্ট এর মাঝে প্রথম পেজে যেই ১০টি রেজাল্ট দেখায় আমরা কিন্তু ওই রেজাল্ট গুলোই দেখে থাকি।

কেউই আমরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় পেজে গিয়ে সাইট ভিজিট করিনা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা এসইও মূলত আপনার ওয়েবসাইটি গুগল, ইয়াহু বিং অথবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান ফলাফলগুলি পর্যালোচনা করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার কন্টেন্ট এর এসইও করতে পারেন, তাহলে যখন কোন ভিজিটর তার কাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়ে গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য সার্চ করবে, আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্ট যদি প্রথম দিকে দেখানো হয় তাহলে খুব সহজেই আপনি ফ্রি অডিয়েন্স পাবেন এবং অবশ্যই আপনার বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।

কারন বর্তমানে মানুষ কোন পণ্য কেনার আগে গুগল থেকে বা সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ দিয়ে আগে বিষয়গুলো নিয়ে রিসার্চ করে দেখে এবং এর পর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

এজন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অন্যতম একটা মাধ্যম।

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ

সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আসলে কি বুঝি? সাধারনভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোসাল কমিউনিকেশন এর জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলেো হল সোসাল মিডিয়া, আর এ সব মাধ্যমে যদি কোনে প্রোডাক্ট প্রমোট করি তাহলে তা হবে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং।

যেমনঃ টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেইসবুক, রেডিট, টামবলার, লিংকডিন সহ ইত্যাদি সোসাল মিডিয়া সাইট।

বাংলাদেশ এবং গোটা বিশ্ব এখন সোসাল মিডিয়ার উপর অনেকটা নির্ভর হয়ে পরেছে, আর আমরা সকলেই আমাদের নিজেদের লাইফ স্টাইল সোসাল সাইটে শেয়ার করতে পছন্দ করি। এজন্য এই সোসাল মিডিয়া সাইটগুলোতে অনেক বেশি কোলাহল থাকে।

মার্কেটার হিসেবে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে, আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর সেল অনেক গুনে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এই সোশ্যাল সাইটগুলতে ২ ভাবে কাজ করা যায়।

  1. ফ্রি মার্কেটিং ম্যাথড
  2. পেইড মার্কেটিং ম্যাথড

আপনি চাইলে ফ্রি তে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে সোসাল সাইটে সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করে শেয়ার করার মাধ্যমে ক্রেতা খুঁজে নিতে পারেন। প্রতিটি সোশাল মিডিয়াতে টাকার বিনিময়েও বিজ্ঞাপন করে আপনার পণ্যকে অনেকের সামনে নিয়ে যেতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ

ডিজিটাল মাধ্যমে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায়ে আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর কার্যকারি পদ্ধতি হল ইমেইল মার্কেটিং। আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা কোন বিষয় নয়। এক ক্লিকেই আপনার সার্ভিসটি সম্ভাব্য হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।

বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইমেইল কালেকশন করে এক ক্লিকে আপনার পণ্যটির বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারেন মুহূর্তের মাঝে। এতে প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তবে বাংলাদেশ এর কথা চিন্তা করলে আমার দেখা মতে এখনো এই মার্কেটিং চ্যানেলটা এতোটা জনপ্রিয় না। কারণ আমরা এখনো ইমেইল ব্যবহারে এতটা যত্নশীল না। এজন্য বাংলাদেশ মার্কেট -এ কাজ করতে চাইলে এই চ্যানেল টা আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়না।

তবে এটা জেনে রাখুন, “ইমেইল মার্কেটিং ইজ দা লাইফ ব্লাড অফ ডিজিটাল মার্কেটিং”।

এসএমএস মার্কেটিংঃ

একটা সময় ছিল যখন মোবাইলের এত প্রচলন ছিল না, কিন্তু আমরা সবাই এখন মোবাইল ব্যবহার করি। আর এই মোবাইল হতে পারে মার্কেটিং এর অনেক সুন্দর একটি মাধ্যম। প্রতিদিনই যখন ঘুম থেকে উঠে মোবাইল কোম্পানি থেকে মেসেজ আসেনি এমন খুব কম দেখেছি আমি।

মোবাইল কোম্পানিগুলো মূলত মোবাইল এসএমএস মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন পণ্যের প্রোমোশন করে থাকে এবং এই প্রোমোশনের মাধ্যমকে আমরা বলে থাকি এসএমএস মার্কেটিং।

আপনি চাইলেও কোন মিডিয়া পার্টনার এর সাহায্য নিয়ে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন এই মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে করতে পারেন। এটা খুবই কম খরচে করা যায়, আর আপনার যদি সেলস ফানেল সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে এই মার্কেটিং থেকে অনেক বেশি বিক্রি বাড়ানো সম্ভব।

ওয়েব এনালাইটিক্সঃ

ওয়েব এনালিটিক্স হল আপনার ওয়েব সাইট টি কতজন ভিজিট করছে কোন অঞ্চল থেকে কেমন বয়সীরা ভিজিট করছে তা বিভিন্ন সাইট বা সফটয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা। এক কথায় বলা যায় একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইসিস করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে।

আমরা অনেকেই গুগুল ওয়েব এনালাইটিক্স, বিং ওয়েব এনালাইটিক্স এবং ইয়াহু এর ওয়েব এনালাইটিক্স এর সাথে পরিচিত। এগুলো দিয়ে কোন একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটরের তথ্য সহ অন্যান্য তথ্য গুলো পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অসংখ্য পদ্ধতি রয়েছে। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব ধরণের সেবা দিয়ে থাকে আমাদের আইএমবিডি এজেন্সী।

This Blog Edited By Sourov Dey

ধন্যবাদ সবাইকে ।

মোবাইল অ্যাপস কি?

মোবাইল অ্যাপস কি?

মোবাইল অ্যাপস কি?

সাধারণত মোবাইল অ্যাপস আমরা সবাই চিনি। বর্তমান যুগে বেশি চলছে Android-র ব্যবহার  । আর তাই অ্যাপস কি কাজে ব্যবহার হয়, তা আর কারো অজানা নেই । আমরা প্রতিনিয়ত যে অ্যাপসগুলো ব্যবহার তার মধ্যে হলো, ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, বিকাশ, নগদ , ইনস্টাগ্রাম , ক্যামেরা ইত্যাদি আর ও অনেক আছে । আমরা সবসময় শুধু ব্যবহারের পারদর্শী হই । কিন্তু তৈরি কিভাবে করে বা কেন তৈরি করে কে তৈরি করে তা তেমন কিছু ঘাটাঘাটি করি না। যেটি আমাদের একটি চরম মাত্রায় ভুল ও বোকামী। এক বার ভাবুন তো, ফেইসবুক নির্মাতা মার্ক জুকারবার্গ কি সব একা তৈরি করেছিলেন ? ফেইসবুক তৈরি করতে প্রায় ৫ জন ডেভেলপার ছিল। ফেইসবুক ওয়েবসাইট তৈরি করে , মোবাইলে অ্যাপস টি ও মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সব কি তিনিই নিজের হাতে তৈরি করেছেন ? না কখনো না। তিনি বিভিন্ন কাজ তার কর্মচারীদের  দিয়ে করিয়ে থাকেন ।

সাধারণত এসব কাজ করে নেওয়ার জন্য যেমন ফেইসবুক নির্মাতা তার কর্মচারীদের পেমেন্ট করেন , ঠিক তেমনি এই পৃথিবীতে লাখ লাখ কোম্পানি এজেন্সি ও সার্ভিস প্রদানকারী রয়েছে, যারা তাদের কোম্পানী ও সার্ভিস মানুষের হাতের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে নেয় । যেমন ধরুন, Daraz.com একটি প্রোডাক্ট কেনার ওয়েবসাইট। এখানে ভিজিট করলে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট কিনতে পারি। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের আবার অ্যাপস Daraz কেন? তাহলে এখনোই থেকে আমরা বুঝতে হবে যে প্রতিটি কোম্পানীর এখন তাদের অ্যাপস তৈরি করিয়ে নিচ্ছে।  আর আমরা সেটি করে দিচ্ছে তারা যারা আজ অ্যাপস ডেভেলেপার ।

একটি ই-কর্মাস ওয়েবসাইটের অ্যাপস তৈরি করতে পারলে মিনিমাম ৩০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। যা বাংলা টাকাই দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ।

অ্যাপস ডেভেলমেন্ট শিখতে হলে যা যা শিখতে হবে, নিচে তা একটু OverView দেওয়া হলো।

  • JAVA
  • SQL
  • XML
  • Android Studio Software
  • Web Development
  • And More Apps Development Software if Needed
  • JavaScript Framework React Native (Better)

উপরের স্কিল গুলো জানা থাকলে একটি ডাইনামিক অ্যাপস তৈরি করা সম্ভব।

-এখন একটু ল্যাংগুয়েজ গুলোর OverView নিচে দেওয়া হলো।

JAVA:    JAVA একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেটি ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস , ডেস্কটপ অ্যাপস, গেমস, ওয়েব অ্যাপস ইত্যাদি বানানো যায়।

1991 সালে MicroSystem Incorporation নামক কোম্পানি। JAVA  ল্যাংগুয়েজ আবিষ্কার করেন যার নির্মাতার নাম হলো James Gosling.

SQL : SQL সর্বপ্রথম সংস্করণটি IBM  তৈরি করে এর স্যান জোসি গবেষণাগারে (বর্তমানে এলমাডেন গবেষণাকেন্দ্র)। ৭০’র দশকের প্রথমদিকে আইবিএম তার সিস্টেম আর প্রোজেক্ট এর অংশ হিসাবে এসকিউএল তৈরি করে। তখন এর নাম ছিল সিকুয়েল। এই সিকুয়েল ভাষাটিই সময়ের সাথে সাথে পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত হয়ে বর্তমানে এসকিউএল(স্ট্রাকচার্ড কুয়েরি ল্যাংগুয়েজ) নামে পরিচিতি পেয়েছে। অনেক সফটওয়্যার পণ্য এখন এসকিউএল কে সাপোর্ট করে থাকে। বর্তমানে অবসংবাদীভাবে SQL আদর্শ রিলেশন্যাল-ডেটাবেজ ভাষা।

 XML : XML এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, Extensible Markup Language. XML, HTML এর     মতই একটি মার্কআপ ল্যঙ্গুয়েজ, তবে এটি কোন প্রোগ্রামিং ল্যঙ্গুয়েজ নয়। HTML এ যেমন Tag এবং attribute আছে, একইভাবে XML এ Tag এবং attribute আছে। পার্থক্য হচ্ছে, HTML এর Tag গুলো (যেমন body, h1, p ইত্যাদি) নির্দিষ্ট করা থাকে , আর Xml এ আপনি নিজের ইচ্ছেমত element/tag বানাতে পারবেন। HTML এর সাথে XML এর বড় একটা পার্থক্য হচ্ছে XML এ attribute দিয়ে এলিমেন্টের ভিতর কি ডেটা আছে সেটা বর্ননা করা যায়, HTML এ এমন সুবিধা নেই। তাছাড়া HTML বানানো হয়েছে ব্রাউজারে Data প্রদর্শনের জন্য আর XML মুলত বানানো হয়েছে ডেটা সংরক্ষণ এবং এই ডেটা অন্য সিস্টেমের সাথে আদান প্রদান করার জন্য।

Android Studio Software : বর্তমান বিশ্বে App development এর মাধ্যমে নিজেদের সফল ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে। আর তাই যদি আপনিও এই সেক্টরে আসতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে বলবো নিসন্দেহে আপনি কোনো খারাপ সিদ্ধান্ত নেন নি।

App Development নিয়ে রিসার্চ করলে নিশ্চই Android Studio এর নাম শুনে থাকবেন।  এটি এমন একটি সফটওয়্যার যেটিকে ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রথম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

Web Development : Web Development নিয়ে আমাদের একটি ব্লগ আছে যেটি

আমাদের ওয়েবসাইটে আছে । এই লিংকে গিয়ে দেখে আসুন Web Development এর A to Z.

React Native : React Native হলো Javascript-র একটি Framework যেটি ব্যবহার

     Android & IOS অ্যাপস বানানো সম্ভব । বর্তমানে React Native র প্রচুর জনপ্রিয়

হয়ে উঠেছে । ফেসবুকে কর্মরত সময়ে রিয়েক্টজেএস (ReactJS) এর জনক Jordan

Walke জাভাস্ক্রিপ্ট থ্রেড থেকে iOS এর জন্য ইউজার ইন্টারফেস (UI) এলিমেন্টগুলো     তৈরি করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন যা রিয়েক্ট এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ফেসবুক ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রিয়েক্ট.জেএস (React.js) এর সম্মেলনে রিয়েক্ট নেটিভ  প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এটিকে ওপেন-সোর্স করে দেয়া হয়। ফলে বহু ডেভেলপার এর সংস্করণে কাজ করেছে এবং করে যাছে।

শেষ কথা : Mobile Apps Development সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বেস্ট চয়েজ । একজন Mobile Apps Developer এর বেতন মাসে প্রায় ৫০০০-৮০০০ ডলার যেটা বাংলা টাকাই ৪+ লাখ টাকা  । তাই বর্তমানে Mobile Apps Development র  চাহিদা আকাশছোঁয়া ।

ধন্যবাদ সবাইকে ।

বাংলাদেশের মোঃ নুরুজ্জামান নয়ন ডাক পেয়েছেন অ্যাপলে ।

বাংলাদেশের মোঃ নুরুজ্জামান নয়ন ডাক পেয়েছেন অ্যাপলে ।

অ্যাপেল-এ যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(চুয়েট)
শিক্ষার্থী মো. নুরুজ্জামান নয়ন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে
অ্যাপলের সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট পদে যোগদান করছেন তিনি।
-নুরুজ্জামান নয়ন, ছোট-বেলা থেকে কম্পিউটার এবং আইটি সেক্টর এর
প্রতি ভালো একটা টান কাজ করত , সে হিসেবে তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে
স্নাতক সম্পন্ন করেন।
নুরুজ্জামান নয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের মহারিশি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
(Maharishi International University) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন
করেন তিনি। এর আগে, জাপানভিত্তিক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি NTT
DATA Services এ সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত
ছিলেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি জানান, ‘হাই-টেক কোম্পানিগুলোতে
কাজ করতে পারাটা নিজের ক্যারিয়ার এবং নিত্য নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে
পরিচিত হওয়ার এক দারুণ সুযোগ। তারা কর্মী, বিশেষ করে সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। প্রবলেম সলভিং এর
দক্ষতা যাচাই তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও জানান, সর্টিং এন্ড
সার্চিং এলগরিদম, কালেকশনস, লিংকডলিস্ট, ট্রিস, BFS, DFS, HEAP,
Stack, Queues, গ্রাফ প্রভৃতি ডাটা স্ট্রাকচারের বিষয়ে একজন
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ডায়নামিক প্রোগ্রামিং, টাইম এন্ড স্পেস কম্পলেক্সিটি প্রবলেম সলভিং
দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করে। এ সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট আরও

জানান, একজন সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট এর জন্য ডিজাইন প্যাটার্ন,
ক্লাউড কম্পিউটিং যেমনঃ AWS, AWS SQS, AWS IAM, AWS
LAMBDA, S3 Bucket, SQL & Non-SQL database for scaling
problem সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা জরুরি। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাশিং
টেকনোলজিস,মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্ক যেমন RabbitMQ, ActiveMQ
প্রভৃতি প্রযুক্তিগত জ্ঞান স্কেলিং প্রবলেম সলভ ও সিস্টেম
পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা ইন্টার্ভিউতে কাজে দেয়। তবে
এন্ট্রি লেভেলে প্রবলেম সলভিং দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান,
ইন্টার্ভিউ প্রস্তুতির জন্য বহু টিউটোরিয়াল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে
আমার কাছে শেখার জন্য GeeksforGeeks আর অনুশীলন এর জন্য
leetcode. com অনেক বেশি কার্যকর বলে মনে হয়। এছাড়া নতুন
টেকনোলজি হিসেবে আর ও ধারণা পাওয়া যেতে পারে গুগল, ইন্টারনেট ও
বিভিন্ন ব্লগে ।

মোঃ নুরুজ্জামান নয়ন কে অ্যাপল কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি
র অফার পাওয়ার জন্য Codex Devware এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি নুরুজ্জামান নয়ন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের আরো অসংখ্য ছেলেমেয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন পরিচয় তৈরি করবে।
ইনশাআল্লাহ।

Home
Account
Course
Search